বাঘাইছড়ি পৌরসভার ৫টি গ্রামে বিদ্যুৎ নেই
বাঘাইছড়ি উপজেলার পৌর এলাকায় হাতের নাগালেই বিদ্যুৎ নেই ৫ গ্রামে। পৌরসভার ৬ নং ওর্য়াডে বটতলী গুচ্চগ্রাম ও হেডম্যান পাড়া কিছু অংশ বিদ্যুৎ নেই জন্মলগ্ন থেকে। থানা হেড কোয়াটার থেকে ৩০০ ফুট সামনে গেলে বিদ্যুৎ পাবে বটতলী গুচ্চগ্রাম এলাকাটির লোকজন।
বটতলী ছড়া বাছা মিয়ার বাড়ি থেকে ২৫০ ফুট সামনে গেলে বিদ্যুৎ পাবে হেডম্যান পাড়ার এলাকার ভুক্তভোগীরা। পৌরসভার ৫ নং ওর্য়াডে মস্তফা কলোনি শ্রীশ্রী রক্ষাকালী মন্দির থেকে ২০০ ফুট সামনে এগোলেই বিদ্যুৎ পাবে পুরো এলাকাটি।
পৌরসভা ৪ নং ওর্য়াডে মাদ্রাসা পাড়া এলাকায় উন্নয়ন বোর্ড অফিস থেকে ৪০০ ফুট সামনে এগোলেই বিদ্যুৎ পাবে এলাকাটি। পৌরসভা ওর্য়াড নং ২ নুর আলীর দোকান থেকে ৫০০ফুট সামনে এগোলেই বিদ্যুৎ পাবে এলাকাটি।
ভুক্তভোগীরা জানান বাঘাইছড়ি বিদ্যুৎ এসেছে ১৯৯২ সালে এর পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ গেলেও অধ্যবদি বিদ্যুৎতের ছোঁয়া লাগেনি পৌরসভা ৫টি গ্রামে। ভুক্তভোগী ওর্য়াডের মো সিরাজুল ইসলাম বলেন যেখানে বিদ্যুৎ লাগেনা সেখানে বিদ্যুৎ যাচ্ছে আর আমরা বিদ্যুৎ অফিসে দৌঁড়াদৌড়ি করেও বিদ্যুৎ পাচ্ছি না।
নির্বাচন সামনে আসলে সবাই বিদ্যুৎ দিয়ে দেয় আর নির্বাচন চলে গেলে আমাদের খবর নেয় না। পাহাড়ের গহীন অরন্য দু চারটা বাড়ির জন্য তিন কিলোমিটার বিদ্যুৎতের লাইন টেনে বিদ্যুৎ যাচ্ছে আর আমরা হাতের কাছে বিদ্যুৎ পাচ্ছি না।
বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র জনাব মো জাফর আলী খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আমি পার্বত্যমন্ত্রী ও আমাদের এমপি মহোদয়কে বলেছিলাম আমার পৌর এলাকায় ৩‘শ থেকে সাড়ে ৩‘শ খুঁটি দিলে আমার পৌর এলাকা আলোকিত হত। এটা আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল।
কিন্ত আমি জনগনকে ওয়াদা দিয়ে ওয়াদা রক্ষা করতে পারিনি। আমি আশা করবো আমাদের এমপি মহোদয় একটু সু-নজর দিলে আমার পৌর এলাকাটি আলোকিত হবে।
বাঘাইছড়ি আবাসিক প্রকৌশলী বিদ্যুৎ (আর ই) সুগত চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তিন পার্বত্য জেলার বিদ্যুৎতায়নের জন্য চম্পক নগর রাঙামাটি অফিস আছে সে খানে আবেদন করলে দ্রুত বিদ্যুৎ লাইন পাবে বলে আশা করি।