বাঙালি ব্যবসায়ীকে ব্রাশফায়ার করায় পার্বত্য অধিকার ফোরামের প্রতিবাদ


বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি দিঘীনালা ৭ মাইল নামক সড়কের উপর উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা চাঁদার জন্য বাঙালি ব্যবসায়ী রুপচান মিয়াকে ব্রাশ ফায়ার করে ফেলে যায়। গুরুতর আহত রুপচান মিয়াকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর মেডিক্যালে আনা হলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রেস বিবৃতি দিয়েছে পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সংসদ।
কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষে বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি জনাব মাঈন বলেন, পাহাড়ে এমন ঘটনায় বার বার প্রমাণিত যে,পার্বত্য চট্টগ্রাম ও এখানকার মানুষের জীবন ও জীবিকা কতটা ঝুকিপূর্ণ এবং অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা ও হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি বর্ষণ করা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। পাহাড় সম্পূর্ন অনিরাপদ ও সন্ত্রাসের আতুরঘর হয়ে পড়েছেছে তারই বহ্যিপ্রকাশ। পরিকল্পিত ভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত করার জন্য এমন টি করা হচ্ছে। বাঘাইহাটের হত্যাকান্ডের রেশ কাটতে না কাটতে এই উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনায় রাষ্ট্রকে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, উগ্র সাম্পদায়িক বাসন্তী চাকমার বক্তব্যের কারণে পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন গুলো নতুন ভাবে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সন্ত্রাসীদের দমনে সর্বপ্রথম বাসন্তী চাকমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। গুরুতর আহত রুপচান মিয়া সামারিক হাসপাতালে সরকারী খরচে চিকিৎসা করাতে হবে। যদি তার মৃত্যু হয় তার জন্য রাষ্ট্রই দায়ী থাকবে।
আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের ধরতে প্রশাসনের কোন দৃশ্যমান কার্যক্রম না থাকলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার হুশিয়ারী দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।