বান্দরবানের তালুকদারপাড়া ব্রিজে কমবে দুর্গম তারাছার দূরুত্ব

fec-image

বান্দরবানের তালুকদার পাড়ায় রোয়াংছড়ি খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বান্দরবান জেলা সদরের শেষ সীমানা কালাঘাটা ছাইংগ্যার সাথে রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নকে যুক্ত করবে এই ব্রিজটি। এতে করে জেলা শহরে সহজ ও সরাসরি সড়ক যোগাযোগ করতে পারবে দুর্গম তারাছার মানুষ।

এর আগে গত বছরের ১০ অক্টোবর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এই ব্রিজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ৯৯.১০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এই ব্রিজ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে চলতি বছরের মার্চ মাসে। এই প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৩৫লাখ টাকা।

২নং তারাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উথোয়াইচি মার্মা জানান- কালাঘাটা-তারাছা সেতু নির্মিত হলে দুপারের তালুকদারপাড়া, রাতাঝিরি, বৈদ্যপাড়া, মিনাইপাড়া, মংনাইপাড়া, নোয়াপতংমুখ তারাছা মুখসহ আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের সহজ যোগাযোগ স্থাপিত হবে। কৃষকরা সহজেই তাদের উৎপাদিত পণ্য বিভিন্ন স্থানে পরিবহণ করতে পারবে। প্রসার বাড়বে ব্যবসা বাণিজ্যে।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, তালুকদারপাড়া এই ব্রিজটি নির্মিত হলে জেলা সদরের সাথে তারাছা-রোয়াংছড়ি উপজেলার সঙ্গে দূরত্ব কমবে। বর্তমানে তারাছার মানুষ রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর এবং নদী পথ ব্যবহার করে থাকে। এতে করে দূরত্ব ও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে সাধারণ মানুষ।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ব্রিজ নির্মাণকে কেন্দ্র করে এলাকায় খুশির জোয়ার বইছে। এতে ওই এলাকার মানুষের জীবন-মানের অনেক উন্নতি হবে। বেড়ে যাবে জমির দাম। দুর্গম এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে পার্বত্যমন্ত্রী এই ব্রিজ নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়ায় স্থানীয়রা তাঁরপ্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

তারাছা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার উচিং মং মার্মা জানান- ব্রিজ নির্মীত হচ্ছে তাই আমরা খুব খুশি। আগে আমাদের দীর্ঘ পথ ঘুরে এলাকায় যেত হতো। এখন অল্প সময়ে জেলা সদরে আমরা যাতায়াত করতে পারব। কাজের গুণগত মান নিয়েও তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

বান্দরবান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান জানান, কালাঘাটা তালুকদারপাড়ায় তারাছা ইউনিয়নে যাতায়াতের ব্রিজটির কাজ পুরোদমে চলছে। পাশাপাশি ব্রিজের কালাঘাটা অংশে ২৮৮৫মিটার সংযোগ সড়কের কাজও চলমান রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন