বান্দরবানের লামায় ত্রিমুখী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩, আহত ৩

fec-image

বান্দরবানের লামা উপজেলায় বালু ভর্তি ট্রাক চাপা পড়ে ননদ-ভাবি’সহ তিনজন মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরও তিনজন। আহতদের অবস্থাও আশঙ্কা জনক। তাদের উদ্ধারের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপালের উদ্যেশ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

একই ঘটনায় শিশুসহ আহত হয়েছে আরো তিনজন। রবিবার (১১ জুলাই) দুপুরে লামা-চকরিয়া সড়কের মিরিঞ্জা পাহাড়ের পশ্চিম লাইনঝিরি নামক এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের ধাওয়া খেয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লামার পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে ছয় যাত্রী নিয়ে লামা হয়ে চকরিয়া যাচ্ছিল একটি মাহেন্দ্র। লামার লাইনঝিরি এলাকা অতিক্রম করার সময় সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আর্জু মাহেন্দ্রটিকে থামানোর জন্য চালককে সংকেত দেন।

তবে চালক ওই নির্দেশ উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তির মোটরসাইকলে নিয়ে পেছন থেকে ধাওয়া করে পশ্চিম লাইনঝিরি এলাকায় গিয়ে মাহেন্দ্রটিকে থামান।

এসময় মাহেন্দ্র থেকে যাত্রীদের নামিয়ে রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যেই চকরিয়া থেকে আসা দ্রুতগামী বালুবাহী ট্রাক ওই ছয় যাত্রীকে চাপা দেয়।

এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দূ’নারী-পুরুষ। আহত অপর ৪ জনকে উদ্ধার করে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখানে অপসী নামে আরেকজনকে মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

আর অংকিতা দাশ (৩), সাগর (২৫) এবং জাহাঙ্গীর (৫০) নামে তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের তিনজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে লামা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের টিএস ডাঃ মো. মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী জানান।

দূর্ঘটনায় নিহতরা হলো আলীকদম উপজেলার সিরাজ কারবারী পাড়া এলাকার গবিন্দ দে’র স্ত্রী চিনু দে (৩৫), শুভ দাশের স্ত্রী রুপসি দাশ (২২)। পুরুষ ৪৩ বছর বয়সী অপর একজনের পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। আহতরা হলো- অঙ্কিতা দাশ (৩), কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকার সাগর (২৫), ও কুমিল্লা জেলা সদরের ফিরোজ মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৫০)।

এদিকে দুর্ঘটনার পর সেনাবাহিনী, ফায়ারসার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করে। ননদ ভাবী।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, দূর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৩জন। দূর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান- আহতদের উদ্ধার করে লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থাও গুরুতর।

এদিকে এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লামা ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মামুন আল-আমিন বলেন- লাইনঝিরি দূর্ঘটনা এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের একটি তল্লাসী চৌকি রয়েছে। এটি শ্রেফ দূর্ঘটনা। দুখজনকভাবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি লামা সার্কেল তদারকি করছেন বিস্তারিত তাঁর কাছ থেকে জানার অনুরোধ করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন