বান্দরবানে একটি সেক্টর ও দুইটি ব্যাটালিয়ন নতুন করে চালু হচ্ছে- বিজিবি সেক্টর কমান্ডার
বান্দরবানে সাংবাদিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা
জমির উদ্দিন, বান্দরবান:
বান্দরবান বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল হাফিজ আহসান ফরিদ বলেছেন, অরক্ষিত সীমান্ত সুরক্ষায় বান্দরবানে একটি সেক্টর ও দুইটি ব্যাটালিয়ান চালু করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ব্যাটালিয়ান স্থাপনের স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া ৩৬টি বিওপি (সীমান্ত নিরাত্তা চৌকি) স্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, রুমায় একটি ব্যাটালিয়ান ও থানছি অথবা আলীকদমে আরেকটি ব্যাটালিয়ান স্থাপন করা হবে। এই ব্যাটালিয়ান ও বিওপি স্থাপনে সীমান্ত সুরক্ষিত, নারী ও শিশু পাচাররোধ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃ সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত এবং সন্ত্রাসীদের নির্মূল ও দূর্গম এলাকায় মাদক চাষের তৎপরতা নির্মূল করা যাবে। এছাড়াও পাহাড়ে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পার্বত্যাঞ্চলে চলমান অপারেশন উত্তোরণের সঙ্গে সম্বনয় রেখে কাজ করে চলেছে।
আজ মঙ্গলবার বান্দরবানে প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে নবসৃজিত বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন আরও বলেন, বান্দরবান জেলায় বাংলাদেশ-মায়ানমার ১৮৬ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে। যার মধ্যে ১৩১ কিলোমিটার সীমান্ত এখনো সম্পূর্ন অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বিস্তৃত এলাকার সীমানা এখনো চিহ্নিত করা হয়নি ।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বলিপাড়া বিজিবি ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার লে. কর্ণেল আকতারুজ্জামান, বান্দরবান সেক্টরের জি এস টু মেজর মুসতাক, মেজর খালেকুজ্জামান, প্রেস ক্লাব সভাপতি অধ্যাপক মো: ওসমান গনি বক্তব্য রাখেন।
বিজিবি সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল নবসৃজিত বান্দরবান সেক্টরের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। বলিপাড়া, রুমা এবং থানছি তিনটি ব্যাটেলিয়ান নিয়ে বান্দরবান সেক্টর গঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে রুমা-রোয়াংছড়ি উপজেলার মাঝামাঝি স্থানে পাইন্দু মৌজায় বিজিবি ৫৩ ব্যাটেলিয়নের জায়গা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
পাহাড়ে প্রতিটি ব্যাটেলিয়ান স্থাপনের জন্য প্রায় ৪০ একর জমি প্রয়োজন হয়। আর সেক্টর স্থাপনের জন্য ২৫ একর জমি প্রয়োজন হয়। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সেক্টর, ব্যাটেলিয়ন এবং বিওপি স্থাপনের জায়গা নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। তবে সেক্টরের স্থাপনের জন্য এখনো স্থান নির্বাচন করা হয়নি।