বান্দরবানে একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত

fec-image

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি দেখলেই সটকে পড়ছে মানুষ

দেশের ঝুঁকিপূর্ণ অন্যান্য এলাকার ন্যায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানেও লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ক’দিন আগেও দেশের ৬৩ জেলার চেয়ে বান্দরবান অনেকটা নিরাপদ মনে করা হলেও কঠোর লকডাউনের মধ্যে এখানে আক্রান্তের হার বেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৯জন। এরমধ্যে জেলা সদরে ২৬, লামা ৬, নাইক্ষ্যংছড়ি ৫, থানচি ও রুমা উপজেরায় ১জন করে আক্রান্ত হয়েছে। এর আগে চলমান করোনার তৃতীয় ধাপে গত ৬ জুলাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছিল ২২ জন।

বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন ডা. অং সুই প্রু মারমা জানান, করোনার শুরু থেকে বান্দরবানে এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৯১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ১ হাজার ১৯৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও তেমন চিন্তার কোন কারণ নেই বলেছিলেন তিনি।

তিনি আরও জানান, বান্দরবানে প্রত্যেক উপজেলায় অক্সিজেন ব্যবস্থাসহ করোনা চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। শুধুমাত্র সরকারী নির্দেশনা মেনে ঘরে থেকে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

এদিকে করোনার উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর লকডাউনের অষ্টম দিনে বান্দরবান জেলা সদরে দোকানপাট ও দূরপাল্লার যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে আগের দিনগুলোর তুলনায় রাস্তায় যত্রতত্র মানুষের ঘুরাঘুরি ও গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম টহলের সময় মানুষ গা ঢাকা দিলেও পরক্ষণেই রাস্তায় বেরিয়ে আসছেন। প্রশাসনের সঙ্গে অনেকটা চোর-পুলিশ খেলায় মত্ত ছিল তারা। সচেতন নাগরিকদের মতে, উৎসুক মানুষ আইন শৃংখলা বাহিনীকে ভয় পাচ্ছে কিন্তু করোনাকে নয়! যার কারণে এসব মানুষ নিজের সঙ্গে নিজেই প্রতারণা করছে। আক্রান্তের হার চিন্তার কারণ হিসেবে দেখছেন তারা। এদিকে কারণে-অকারণে মানুষ বাইরে এলেও সবার মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে। বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, বান্দরবানের সাত উপজেলায় চলমান কঠোর লকডাউনে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করায় গত পাচঁ দিনে ২২৭টি মামলা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৭৬ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া জেলায় এই পর্যন্ত ১৮ হাজার ২জনের মাঝে করোনার প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন ১৬ হাজার ১৪৩জন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন