parbattanews

বান্দরবানে এলজিইডির কর্মকর্তা, প্রাইমারী শিক্ষক ও শিশুসহ আরও ৪ জন আক্রান্ত

হঠাৎ করেই বান্দরবানে বেড়ে চলছে করোনা। গত তিনদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। নতুন করে আবারও জেলা সদর, থানচি, রুমা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৪জন করোনা শনাক্ত হয়েছে।

শনিবার (৩০মে) বান্দরবান সিভিল সার্জন দপ্তরের করোনা সেল থেকে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে দেরীতে টেস্ট রিপোর্ট পাওয়ায় নাইক্ষ্যংছড়ির আক্রান্ত রোগীর তথ্য অফিসিয়ালী এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

জানা গেছে, থানচি উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হায়ধার (৫২) করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে তিনি ২১ মে ঢাকা থেকে থানচি উপজেলায় কর্মস্থলে হাজির হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং তাকে হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে বলা হয়েছিল।

অন্যদিকে জেলার রুমা উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন অংসাইচিং মারমা (২৫) নামে একজন। তিনি ঢাকায় একটি কোম্পানীতে চাকরি করেন। সম্প্রতি তিনিও রুমায় এলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে হোম কোয়ারান্টিনে রাখা হয়।

বান্দরবান জেলা সদরে আক্রান্ত হয়েছে আব্দুর রহমান ( ৭) নামে এক শিশু। সে রাজবিলা ইউনিয়নের মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে। পরীক্ষার পর শনিবার তাদের শরীরে পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়।

এদিকে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় একজন প্রাইমারী শিক্ষক করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ ও প:প: কর্মকর্তা ডা. আবু জাফর মো. ছলিম। আক্রান্ত শিক্ষকের নাম মো. ইউনুছ। তিনি উপজেলা সদরের বাসিন্দা। এই শিক্ষক অসুস্থবোধ করায় গত ২৫মে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে নমুনা নেওয়া হয়।

কক্সবাজার ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার জট থাকায় শনিবার রাতে পারিবারিক অনুরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে রিপোর্ট নেওয়া হয়। যার কারণে শনিবার জেলায় প্রকাশিত করোনা আক্রান্ত তালিকায় এই রোগীর নাম ছিলনা। তবে রবিবার রিপোর্ট আকারে প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

Exit mobile version