বান্দরবানে জয় পেতে একাত্বতা বিএনপি, সক্রিয় আ’লীগও

fec-image

চতুর্থ ধাপে বান্দরবান পৌরসভায় ভোট হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে জয়ী করতে তৎপর দলের নেতাকর্মীরা। আর বছরজুড়ে থাকা বিরোধ ভুলে দলের নেতাকে জয়ী করতে একজোট হওয়ার কথা বলছে বিএনপি।

বান্দরবান পৌরসভায় মেয়র পদের জন্য পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আলোচনায় আছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী।

মেয়র পদের জন্য এখানে লড়ছেন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ ইসলাম বেবি, বিএনপির জাবেদ রেজা, জাতীয় পার্টির মো. শাহজাহান, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নাসির উদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিধান লালা।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেবি ২০১৬ সালে বান্দরবানের মেয়র নির্বাচিত হন। এবারও তাকে মেয়র পদে দেখার জন্য একযোগে কাজ করছেন দলের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, দুঃসময়ে দলের কান্ডারি হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন বেবি। তাই তার জন্য ভোট চাইতে মাঠে সক্রিয় দল।

জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কেলুমং বলেন, ‘নির্বাচনে জিততেই হবে। এটা আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। সবাই এক হয়ে কাজ করে আমরা আমাদের প্রার্থীকে জেতাব।’

জয় নিয়ে আশাবাদী বেবি। তিনি পার্বত্যনিউজকে বলেন, ‘দেশের সার্বিক উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নেই। তার প্রমাণ দেশবাসী পেয়েছে। যদি আমি জয়ী হই তাহলে পৌরসভাকে মাদক-সন্ত্রাসমুক্ত ও আধুনিক ডিজিটাল মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলব।’

বান্দরবানে বিএনপির মধ্যে অন্তঃকোন্দল ছিল প্রকাশ্য। নেতারা বিভিন্ন সময় আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ করেছেন একে অপরের বিরুদ্ধে। এমনকি কেন্দ্রের বিভিন্ন কর্মসূচিও তারা আলাদাভাবে পালন করতেন।

তবে পৌর নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধ ভুলে সবাই কাজ করছে বলে দাবি করছেন জেলার বিএনপি নেতারা।

জেলা বিএনপির সভাপতি ম্যাম্যাচিং বলেন, ‘বিএনপি একটা বড় দল। বড় দলে ছোটখাটো মতপার্থক্য থাকতেই পারে। তবে নির্বাচনে সবাই এক হয়ে লড়ব।’

এবার আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। দল এখন নানা বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখান থেকে উঠে আসতে হলে নির্বাচনে বিএনপির জয় অবশ্যই দরকার। আর আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকেই তা করব।’

বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী জাবেদ রেজা বলেন, ‘আমি জনগণের ভোটে একবার পৌর মেয়র হয়েছি। পৌরবাসীর দোয়া ও সমর্থনের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।’

এই নির্বাচনেও জয় হবে বলে আশা করছেন তিনি। তবে ভোট সুষ্ঠু করতে নির্বাচনী এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানান তিনি।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নেওয়া সব প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে।

চতুর্থ ধাপে এখানে ভোট হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। মেয়র পদে পাঁচজন ছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৯ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭ জন এই পৌরসভায় লড়ছেন। প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে এখানে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন