বান্দরবানে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৬ দিনে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৯ জন থানচিতে ও ১ জন আলীকদমে। তারা হলেন, থানচির রেমাক্রী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেন থাং পাড়ার আমেন ম্রোর ছেলে মেনথাং ম্রো (৪৯), নারিচা পাড়ার বাসিন্দা মে তৈ ম্রোর ছেলে লংঞী ম্রো (৪৫), সিং চং পাড়ার বাসিন্দা মেন রো ম্রোর ছেলে প্রেন ময় ম্রোর (১১), সংওয়ে ম্রো (৫০), প্রেণময় ম্রো (৪০), ইয়ং নং পাড়ার বাসিন্দা ক্রাইয়ং ম্রো (৬০), ক্রায়ক ম্রো (১৮), রয়ং ম্রো (৪৮), নারিচ্যা পাড়ার ক্রেলি ম্রো (৩৬) ও আলীকদমে ১জন।
বৃহষ্পতিবার (১৬ জুন ) বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা. নীহারঞ্জন নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রতিবছরই বর্ষার শুরুতে ঝিরি, ঝর্ণা ও নদীর পানিতে আশপাশের ময়লা পানি মিশে যাওয়ায় বান্দরবানের দুর্গম এলাকা গুলোতে সাধারণত ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা যায়। অসচেতনতা ও সুপেয় পানির অভাবে এটা হয়ে থাকে। এবারও থানচি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের কয়েকটি পাড়ায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। তিনি বলেন, সর্বশেষ গত ৬ দিনে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থানচিতে ৯ জন ও আলীকদমে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে
টিম কাজ করছে এবং সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ জানান, রেমাক্রী এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা অপরিশোধিত পানি পান করছে। যার কারণে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। ওইসব এলাকায় ওষুধ ও খাবার স্যালাইন পাঠানো হয়েছে। তাদের চিকিৎসায় ১০ জনের একটি মেডিকেল টিম কাজ করছে। এছাড়া ওই এলাকায় দুই এক দিনের মধ্যে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে বলেও জানান তিনি।