বান্দরবানে নতুন শিডিউল নির্ধারণের শর্তে পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার


বিআরটিসি ও পূর্বাণী-পূরবী পরিবহণ মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে দ্বন্ধের জের ধরে ধর্মঘট ডাক দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পর পুনরায় শিডিউল দেওয়ার শর্তে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে ‘বিআরটিসি বাস শিডিউল মানছে না’ এমন অজুহাতে আকস্মিক ধর্মঘটের ডাক দিয়ে বান্দরবান-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহণ শ্রমিকরা। এরপর দুপুরের পর জেলা শহর থেকে কোন পরিবহণ ছাড়তে দেয়নি আন্দোলনকারীরা। অতর্কিত এই ধর্মঘটের কারণে বেশ কয়েক ঘন্টা দূর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা।
পূর্বাণী-পূরবী মালিক-শ্রমিকরা বলেছেন- বিআরটিসি শিডিউল না মেনে গাড়ি ছাড়ার কারণে পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। দ্বন্ধ নিরসন না হলে ধর্মঘট চলবে।
অন্যদিকে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ বলেছেন- একটি বাসের ত্রুটিজনিত কারণে বিলম্বে গাড়ি ছাড়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্বাণী-পূরবী মালিক-শ্রমিকরা বাস স্টেশন এলাকায় তাদের গাড়ি আটকে দেয়।
এদিকে দুই পরিবহণ কর্তৃপক্ষের দ্বন্ধ নিরসনে পরিবহণ শ্রমিক এক্য পরিষদ কার্যালয়ে পরিবহণ নেতাদের সঙ্গে দুপুরে আইন শৃংখলা বাহিনী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবর্গের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে ৩০ অক্টোবর পুনরায় বৈঠকের মাধ্যমে বিআরটিসি ও পূর্বার্ণী-পূরবী পরিবহণের মধ্যে নতুন শিডিউল নির্ধারণের শর্তে সন্ধ্যায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলনকারীরা।
এ সময় বান্দরবান ট্রাফিক পুলিশের ওসি সালাউদ্দিন মামুন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও পরিবহণ নেতা আব্দুল কুদ্দুস, অমল কান্তি দাশ, শাহাব উদ্দিন, ঝন্টু দাশ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদুর রহমান রাশেদ, রাজু বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ অক্টোবর বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কে বাংলাদেশ সড়ক পরিবন সংস্থার (বিআরটিসি)র এসি বাস পরিবহণ চালু হয়। এর পর থেকে পূরবী-পূর্বাণী পরিবহণের মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা। তবে পূর্বাণী-পূরবী পরিবহণের সিন্ডিকেট বানিজ্যের অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।