parbattanews

বান্দরবানে বনাঞ্চলের প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে অংশগ্রহণকারী জনগোষ্ঠীর মাঝে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ

বান্দরবানে বনাঞ্চলের প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের বিকল্প জীবিকায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে রোয়াংছড়ি উপজেলার তুলাছড়ি পাড়ায় আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও তহজিংডং এর বাস্তবায়নে তহজিংডং কমিউনিটি পার্টনারশিপ টু স্ট্রেনদেন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (কম্পাস) ইউএস ফরেস্ট সার্ভিস ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পাড়া কারবারি খ্যাথোয়াইউ মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কম্প্যাস প্রকল্পের পরিচালক আবু মুস্তফা কামাল উদ্দিন, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রাকিবুল হাসান মুকুল, বনাঞ্চল প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার বিশেষজ্ঞ সাহজিয়া মহসিন খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সিং ইয়ং ম্রো , অরণ্যক ফাউন্ডেশনের কনসালটেন্ট ডাক্তার আব্দুল কুদ্দুস, রোয়াংছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আথুমং মারমা, রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছিলেন মেহ্লাঅং মারমা, কম্পাস সিএইচটি এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, তাজিংডং প্রতিনিধি মংহ্লাছিংসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, প্রাকৃতিক বন পুনরুদ্ধার ব্যতীত এই অঞ্চলের প্রতিবেশ রক্ষা, পানির উৎস সংরক্ষণ, জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকা সমুন্নত রাখা সম্ভব নয়। তাই কম্প্যাস প্রকল্পের আওতায় তুলাছড়িসহ বিভিন্ন গ্রামের জনগোষ্ঠী বর্তমানে বনাঞ্চলের প্রতিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ, রক্ষণাবেক্ষণসহ নানান কাজ করে যাচ্ছে। একই সাথে তাদের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটাতে ও ক্ষয়িষ্ণু বনের উপর জীবিকার নির্ভরশীলতা কমিয়ে বনকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টায় প্রকল্পটির অংশগ্রহণকারীদের বিকল্প জীবিকায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে। এর আওতায় ৬৫ জন গ্রামবাসীকে গৃহপালিত পশু ও মুরগী পালন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি প্রদান করা হচ্ছে । ভবিষ্যতেও পার্বত্য বান্দরবানের ভাগ্য পরিবর্তনে তারা কাজ করে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ।

Exit mobile version