প্রেমের কারণে শেষ পর্যন্ত নৃশংসভাবে নিজের জীবন দিতে হলো প্রেমিকা রুপা আক্তার (১৯) কে। প্রেমিক নিজের হাতে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে প্রেমিকাকে।
বাঙ্গালখালিয়ার ডালিয়া মুসলিম পাড়ার নুরু ইসলামের মেয়ে রুপা আক্তার (১৯)। দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল একই গ্রামের ছেলে সিএনজি চালক রহিতের ছেলে প্রেমিক কাজল (২২) এর সঙ্গে। কিন্তু রহিতের চরিত্র ভালো না থাকার কারণে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের এ সম্পর্ক মেনে নেয়নি রুপা আক্তার এর বাবা। তাই মেয়ের সুখের জন্য মেয়েকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেয় রুপার বাবা।
এই বিষয়ে নিহত রুপা আক্তারের চাচা আনোয়ার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, মাত্র ৭-৮ মাস আগে চন্দ্রঘোনার হায়দার আলীর সাথে বিয়ে হয় রুপা আক্তারের । কিছুদিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাই রুপা আক্তার। আর বাড়িতে আসার খবর পেয়ে যায় প্রেমিক কাজল।
সেই সুযোগে প্রেমিকা রুপা আক্তারকে মোবাইলে ফোন করে বিভিন্ন রকম কথা বলে এবং তার সাথে ঘুরতে না গেলে সোশ্যাল মিডিয়া ও ফেসবুকে বিভিন্ন ছবি ভিডিও প্রকাশ করবে বলে হুমকি প্রদান করে। নিরুপায় হয়ে প্রেমিক কাজলের সাথে বান্দরবানে আসে কিন্তু জীবন দিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল রুপা। কল্পনা করতে পারেনি নিজের ভালবাসার মানুষটির হাতে এই দুনিয়া থেকে চির বিদায় নিতে হবে রুপাকে তাও নির্মমভাবে।
উল্লেখ্য গত ৭ আগস্ট রাত ১০.৩০ মিনিটে বান্দরবান সদরের রাজবিলা ইউনিয়নের গলাচিপা এলাকায় জাহাঙ্গীরের বাগানের পাশে রুপার গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে জানা যায়, নিহত রুপা আক্তারের পরিবারের পক্ষ থেকে বাদী হয়ে একটি মামলা প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে মামলাটির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
