বান্দরবানে বুদ্ধ পূর্ণিমায় বোধিবৃক্ষে পানি উৎসর্গ ও র্যালী
বান্দরবান প্রতিনিধি: বোধিবৃক্ষে পানি উৎসর্গ করার মধ্যদিয়ে বান্দরবানে শেষ হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বুদ্ধ পূর্ণিমা উৎসব। আজ সকালে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে পুজা ও ধর্মদেশনা শেষে কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের সামনে অর্ধশতবর্ষী বোধিবৃক্ষের চারিদিকে শত শত বুদ্ধ ধর্মালম্বী নারী-পুরুষ সারিবদ্ধভাবে প্রাত ভ্রমন করে চন্দন কাঠের ও ঝর্ণার পবিত্র পানি উৎসর্গ করেন।
এর আগে সকালে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা একটি বর্ণাঢ্য র্যালী শহরের প্রধান প্রধান প্রদক্ষিন করে। পানি উৎসর্গ অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, সাবেক এমপি ম্য মা চিং, ১৭তম বোমাং রাজা প্রকৌশলী উ চ প্রু, বিএনপি’র সভাপতি সাচিংপ্রু জেরী, রাজপুত্র মং ঙৈ প্রুসহ বৌদ্ধ ধর্মালম্বী শত শত নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু কিশোররা অংশ নেয়।
পরে কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধের বন্দনায় অর্চনার পাশাপাশি তারা পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেদ প্রার্থনা করেন। সকাল থেকে বিহারে বিহারে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা পিন্ড দান করেন। এবং দেশের শান্তি কামনা করে সকল ধর্মের মানুষের সুখ, শান্তির কামনা করে প্রার্থনা করা হয়।
সূত্র জানায়,বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক ধর্মের মহামতি গৌতম বুদ্ধ এইদিনে জন্ম গ্রহন করেন। শুধু জন্ম দিন নয়,এই দিনে সিদ্ধিলাভ আর মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন তিনি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা। বৈশাখের পূর্ণিমা তিথিতে এই পুণ্যোৎসবে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা স্নান করে, শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকেন। অর্চনার পাশাপাশি তারা পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেদ প্রার্থনা করেন।
গৌতম বুদ্ধ খৃস্ট-পূর্ব ৫৬৩ সালে নেপালের শাক্যরাজ শুদ্ধোধন ও রাণী মহামায়ার সংসারে জম্ম গ্রহন করেন। শৈশবে তার নাম ছিল সিদ্ধার্থ। বড় হয়ে রাজ্যপাট, রাজপ্রাসাদ, সংসার, ভোগ-বিলাস ত্যাগ করে মানব মুক্তির পথ খুঁজতে তিনি তপোবনের সন্ন্যাসীদের কাছে রপ্ত করেন ধ্যানের নানা কৌশল। তিনি ৬ বছর কঠোর সাধনা শেষে অণে¦ষণ করেন মানবমুক্তির পথ।