parbattanews

বান্দরবানে রাজগুরু ভান্তের মরদেহ ও শেষকৃত্য প্রসঙ্গে আলোচনা সভা 

প্রয়াত রাজগুরু উ পঞাঞা জোত মহাথেরো (উচহ্লা ভান্তে) মরদেহ ও শেষকৃত্য সম্পাদন অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট অডিটরিয়াম হল রুমে।

১৩ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বিকালে বান্দরবানে ভিক্ষু সংঘ ও প্রয়াত রাজগুরু উ পঞাঞা জোত মহাথেরো পরিবারের সাথে এই আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভাটি সমন্বয় করেছে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা ।

আলোচনা সভায় ভিক্ষু সংঘরা বলেন, প্রয়াত রাজগুরু উচহ্লা ভান্তে প্রথম স্বর্ণ জাদি স্থাপিত করে পার্বত্য এলাকায় বৌদ্ধ ধর্মকে দেশ ও বিদেশে পরিচিতি করে দিয়েছে। ধাপে ধাপে রাম জাদি, ক্যমলং জাদি ও নংদগ্রী জাদি স্থাপিত করা হয়। তিনি বৌদ্ধ ধর্ম ও সংঘের কাছে অনেক অবদান রেখে গেছেন। শুধু শিষ্যদের কাছে তিনি গুরু নয়, তিনি সকলের কাছে গুরু।

মরদেহ নিয়ে অনেক আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে। তিনি একজন ভিক্ষু সংঘ, সংঘের যে নিয়ম নীতি আছে সেদিকেও অনুসরন করতে হবে। আবার উ পঞাঞা জোত মহাথেরোর মরদেহ রাখলেও সমস্যা নেই, শেষকৃত্য করলো সমস্যা নেই।

আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকা প্রয়াত উ পঞাঞা জোত মহাথেরো (উচহ্লা ভান্তে) পরিবারের সদস্য থুই থুই প্রু বান্দরবান প্রতিদিনকে বলেন, এখনতো বৌদ্ধ ধর্মের তিন মাস বর্ষাবাস চলছে, অর্থাৎ সংযমের মাস। এই সময়ে প্রয়াত উ পঞাঞা জোত মহাথেরো মরদেহকে কোন জায়গায় না সরানোর জন্য অনুরোধ করেছি। বর্ষাবাস (ওয়াহ) পরেই সিদ্ধান্ত নেয়া হোক। শেষে তিনি বলেন, গুরু ভান্তে না মরার আগে বলে গেছেন, আমি মরে গেলে আমার দেহ শেষকৃত্য অনুষ্ঠান যেন না করে। দেহ সংস্কার করে স্বর্ণ জাদি অথবা রাম জাদিতে রাখা হয়।

শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। সংঘের ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে সাত দিনের কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে আলোচনা সভায় জানানো হয়।

Exit mobile version