parbattanews

বান্দরবানে রোহিঙ্গা নারীসহ আটক ৫

আটককৃতদের ছবি

বান্দরবান পাসপোর্ট অফিসে সোমবার (২৭ মে) পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা নারীসহ ৩ জন ও মঙ্গলবার (২৮ মে) নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে ২ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

আটককৃতদের মধ্যে একজন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ ও তিনজন পুরোনো বসতির রোহিঙ্গা।

বান্দরবান পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সোমবার (২৭ মে) দুপুরে রাজিয়া বেগম নামে এক রোহিঙ্গা তরুণীকে গ্রাম পুলিশ আবদুল মালেক ও শ্বশুর পরিচয়ে মো. জাকারিয়া পাসপোর্ট কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।

গ্রাম পুলিশ আবদুল মালেক বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাঁকে তরুণীর পাসপোর্ট করে দেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তরুণীকে তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বাংলা ভাষা জানেন না বলে জানান। এতে তাঁদের সন্দেহ হলে তরুণীসহ তিনজনকে থানায় সংবাদ দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

রাজিয়া বেগম পরিচয়দানকারী তরুণী ও তাঁর শ্বশুর পরিচয়দানকারী জাকারিয়া থানায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পাসপোর্ট করে দেওয়ার জন্য গ্রাম পুলিশ আবদুল মালেকের সঙ্গে দুই লাখ টাকার চুক্তি হয়েছে। রোহিঙ্গা নারীর প্রকৃত নাম সাঈকা বেগম (২২)।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেছেন, তাঁর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জামছড়িপাড়ার ছৈয়দ হোসাইন বাবা পরিচয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই তরুণীর নাগরিক সনদপত্র নিয়েছেন। তখন ছৈয়দ হোসাইনের মেয়ে রাজিয়া বেগমের জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে ওই তরুনীর ছবি দেখানো হয়েছিল। জালিয়াতির বিষয়টি জানার পর তিনি ছৈয়দ হোসাইন ও তাঁর স্ত্রী এলম খাতুনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন বলে তসলিম জানিয়েছেন।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, রাজিয়া বেগম পরিচয়দানকারী সাঈকা বেগম উখিয়া পালংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। পুরোনো বস্তি রোহিঙ্গা ছৈয়দ হোসাইন ও স্ত্রী এলম খাতুন তাঁদের মেয়ে হিসেবে পরিচয় জালিয়াতি করে পাসপোর্ট নিতে সহযোগিতা করেছেন। শ্বশুর পরিচয়দানকারী জাকারিয়াও প্রকৃত শ্বশুর কি না, তদন্তে জানা যাবে। তিনিও পুরোনো বস্তির রোহিঙ্গা। গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনকেই আদালতের মাধ্যমে আজ মঙ্গলাবার (২৮ মে) জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।

Exit mobile version