parbattanews

বান্দরবানে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী রাজপুন্যাহ উৎসব

bandarban-pic-2-21-12
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী বোমাং সার্কেলের খাজনা বা জুম কর আদায় উপলক্ষে তিনদিন ব্যাপী উৎসব শুরু হয়েছে। বুধবার ১৭তম বোমাং চিফ প্রকৌশলী উ চ প্রু চৌধুরী রাজকীয় পোশাক পরে হাতে তরবারি নিয়ে অতিথিদের সাথে রাজ বাড়ী থেকে বের হয়ে আসেন।

এ সময় ১৩৯তম রাজপুন্যাহ উপলক্ষে রাজ দরবারের বাদক দলের বাঁশির সুরে পাইক পেয়াদা, সৈন্য-সামন্ত, উজির-নাজিররা গার্ড অব অনার দিয়ে সভাস্থলে নিয়ে আসেন রাজাকে। রাজ পোশাকে রাজাকে একনজর দেখার জন্য রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় ছিলেন উৎসুক জনতা।এ সময় রাজাকে ফুল ছিটিয়ে স্বাগত জানান পর্যটক ও প্রজারা।

এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে ১০৯ মৌজার হেডম্যান, পাড়া কারবাড়ী ও পাইসিংরা উপঢৌকন হিসেবে মোরগ, মদসহ জুম খাজনা প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণায়লের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শাখাওয়াত হোসেন, বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল যুবায়ের সালেহীন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার সাঞ্জিত কুমার রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বোমাং রাজা প্রকৌশলী উ চ প্রু চৌধুরী বলেন, রাজপুণ্যাহ হচ্ছে বংশ পরাম্পরায় অনুষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। ১৩৯তম রাজপুন্যাহ মেলা এবং আমার তৃতীয়তম রাজপুণ্যাহ উৎসব। ১৮৭৫ সালে ৫ম বোমাং রাজা সাক হ্ন ঞো’র আমল থেকে বংশ পরস্পরায় ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর ঐতিহ্যবাহী রাজপুন্যাহ উৎসব হয়ে আসছে। রাজপুণ্যাহ পাহাড়ী-বাঙ্গালীর মিলন মেলায় পরিণত হবে বলে তিনি আশা করেন।
রাজপুণ্যায় বিভিন্ন পণ্যের স্টল, হাউজি, পুতুল নাচ, বিচিত্রানুষ্ঠান, মৃত্যুকূপ, নাগরদোলা, যাত্রাপালাসহ বিনোদনমূলক নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

Exit mobile version