পার্বত্য জেলা বান্দরবানে এবার ২৯টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সকালে দেবী দুর্গার মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে পাচঁদিন ব্যাপী এই শারদীয় দূর্গাৎসব শুরু হয়। এখনো করোনার প্রভাব থাকায় অন্যান্য বারের তুলনায় এবার মন্ডপের আয়োজন সীমিত করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের রাজারমাঠের বৃহৎ আয়োজন। তবে মন্ডপগুলোতে দেবী দুর্গার কাছে করোনামুক্তির প্রার্থনা করা হচ্ছে।
হিন্দু ধর্মালম্বীদের শারদীয় দূর্গাৎসবকে ঘিরে জেলার সাত উপজেলায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পূজা উদযাপন কমিটির তথ্যমতে, জেলার সাতটি উপজেলায় সার্বজনীন শারদীয় দুর্গা উৎসব উদযাপন কমিটির ব্যানারে ২৯টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা হবে। তারমধ্যে সদর উপজেলায় ১০টি,
রোয়াংছড়িতে ২টি, রুমায় ১টি, থানছিতে ১টি, লামায় ৮টি, আলীকদমে ৫টি, নাইক্ষ্যংছড়িতে ২টি।
পূজা আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপনের জন্য বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আয়োজক কমিটিকে দুই লাখ ৮২ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) পার্বত্যমন্ত্রীর বাসভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটির নেতৃবৃন্দদের কাছে এই অনুদানের চেক হস্থান্তর করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাউছার হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় দূর্গাৎসব আয়োজন কমিটির সভাপতি লক্ষী পদ দাস, কেন্দ্রীয় দূর্গাৎসব আয়োজন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৌরভ দাস
শেখরসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
কেন্দ্রীয় দূর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি লক্ষী পদ দাস জানান- প্রতিবছর রাজারমাঠে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে পূজা মন্ডপ তৈরি করা হলেও এবার করোনার কারণে বাতিল করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্ডপে প্রবেশ এবং পূজা উপভোগে বাড়তি নিরাপত্তা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।