বান্দরবানে ৩০টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব

fec-image

৬ষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (২২অক্টোবর) বান্দরবানে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। সনাতন ধর্মালম্বীদের এই উৎসবকে ঘিরে সনাতনী সমাজে বইছে আনন্দের বন্যা। কেনাকাটা ও আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের প্রস্তুুতি নেয়া হলেও এবার বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে শুধুমাত্র পূজা ছাড়া সকল অনুষ্ঠানমালা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদ।

এবার বান্দরবান জেলায় ৩০টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। যারমধ্যে জেলা সদরে ১০টি, লামা উপজেলায় ৮টি, আলীকদম উপজেলায় ৫টি, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৩টি, রুমা উপজেলায় ১টি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১টি ও থানচি উপজেলায় ২টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

শেষ মুহূর্তে বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমাগুলোকে রাঙাতে শিল্পীরা ছুটে যাচ্ছেন এক মন্ডপ থেকে অন্য মন্ডপে। প্রতিটি মন্ডপে প্রস্তুতির শেষ সময় পার করছে আয়োজকরা।

অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে বান্দরবান কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ দাশ শেখর জানান, মহামারির কথা বিবেচনা করে এবার প্রতিবারের মত ব্যাঁপক আয়োজন থাকবে না। প্রতিটি মন্ডপে প্রবেশ এবং বের হওয়ার জন্য আলাদা গেইট, হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা থাকবে এবং পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে।

বান্দরবান কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লক্ষীপদ দাশ জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব এবার ধর্মীয় রীতি পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। পূজায় আগত সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে এবং নির্দিষ্ট সময় নিয়ে প্রতিমা দর্শন শেষে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে গেলে পূজা উদযাপনে অনেকটাই সহজ হবে। দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জনের সময় কোনও শোভাযাত্রা করা হবে না এবং বিকেল ৫টার মধ্যে সকল পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হবে।

পূজা আয়োজনে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের জন্য পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রতিটি পূজামন্ডপে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

উল্লেখ্য ২২ অক্টোবর ৬ষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরপর ২৩ অক্টোবর (শুক্রবার) মহাসপ্তমী, ২৪ অক্টোবর (শনিবার) মহাঅষ্টমী, ২৫ অক্টোবর (রবিবার) মহানবমী এবং ২৬ অক্টোবর (সোমবার) বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর দেবীর আগমন ঘটবে দোলায় চড়ে এবং গজে গমন হবে।

এদিকে সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এছাড়াও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমও শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন