parbattanews

বান্দরবান ডিসির পত্র জালিয়াতি মামলায় মাদরাসা সুপার কারাগারে

মদিনাতুল উলুম মাদরাসা সুপার সৈয়দ হোসাইন

বান্দরবান জেলা প্রশাসকের পত্র জালিয়াতির দায়ে নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মাদরাসা সুপার সৈয়দ হোসাইনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। উচ্চ আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (৬ফেব্রুয়ারি) নিম্ম আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে কয়েক ঘন্টা শুনানী শেষে চীফ জুডিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুবুর রহমানের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জয়নুল আবেদীন এবং আসামি পক্ষে মামলার কৌশলী ছিলেন এডভোকেট ইলিয়াছুর রহমান, মুর্শেদুল ইসলাম রুবেল ও মো. শাহজাহান।

অভিযোগ রয়েছে, ২০১৮ সনে নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউট আলীম মাদরাসা পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের ৩৩৬ নম্বর স্মারকের একটি চিঠি স্বাক্ষর জালিয়াতিতে আশ্রয় নেয় সৈয়দ হোসাইন।

পরে ডিসির পত্র জালিয়াতি, নিজ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীর সাথে কেলেংকারী, মাদরাসা পরিচালনায় অনিয়ম, দূর্নীতি সাথে জড়িত বলে প্রশাসনিক একাধিক তদন্তে দোষী প্রমানিত হয় ওই শিক্ষক।

বিষয়সমূহ বান্দরবান জেলা প্রশাসককে জানালে গেল ডিসেম্বর মাসে ৪০৬ নম্বর স্মারকের পত্র মূলে ওই মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।

পরে ২৪ডিসেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি বাদী হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় (০৭/২৪-১২-২০১৯) মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি দায়েরের পর মাদরাসা সুপার দীর্ঘদিন পালিয়ে থেকে উচ্চ আদাতলে জামিনের জন্য আবেদন করলে নিম্ম আদালতে হাজির হওয়া শর্তে জামিন প্রদান করেন।

উচ্চ আদালতের মেয়াদ শেষ হলে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবান চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।

আসামি ও সরকার পক্ষের পিপির কয়েক ঘন্টা যুক্তিতর্ক ও শুনানী শেষে বিচার সৈয়দ হোসাইন এর আবেদন নাকচ করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

এই প্রসঙ্গে আসামি পক্ষের আইনজীবী মুর্শেদুল ইসলাম রুবেল জানান- আদালত উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন এবং ঘটনার সময়কার মাদরাসা পরিচালনা কমিটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তদন্তের আওতায় আনার জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

Exit mobile version