parbattanews

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

image_47007

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক তিন সদস্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে বান্দরবান স্পেশাল জজ ও জেলা দায়রা জজ আদালত। যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দেয়া হয়েছে তারা হলেন সাবেক পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও বিএনপি নেতা আরিফ উদ্দিন চৌধুরী, লুসাই মং মারমা, উক্যমং চৌধুরী এবং জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের তৎকালীন উপ-পরিচালক উৎপল কান্তি চাকমা।

স্পেশাল জজ এবং বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ মো. শফিকুর রহমানের আদালত বৃস্পতিবার এ আদেশ দেন। একই আদেশে অনিয়মের মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ আনা উনুচিং মারমা, কাবেরী নন্দী, মো. নুরুল আলম ও মো. শহীদুল্লাহ নামে চারজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কারণ তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) তদন্তে প্রমাণিত হয়নি।

আইনজীবী ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনে পরিবার ও পরিকল্পনা বিভাগের বিভিন্ন পদে ৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষার খাতা ঘষামাজা করে নম্বর শিট পরিবর্তন করে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগের ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত শেষে ২০০৪ সালের ২৮ মে দুদকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তে দুর্নীতির বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি স্পেশাল জজ এবং বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার কাগজপত্র দাখিল করে দুদক। আদালত ১ মে ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে ১৫ মে শুনানির দিন ধার্য করেন।

দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ধারা ৪৭৭ (ক)/১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের আওতায় অপরাধ সংঘটনের বিষয়টি তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে আদালতকে জানায়। চারজনের বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নেওয়া এবং অপর চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি উল্লেখ করে তাদের অব্যাহতি দিতে আবেদন করে দুদক।

ওই আবেদনের ভিত্তিতে এবং দুদকের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট বিশ্বজিত চাকমার তদন্ত রিপোর্টে উত্থাপিত বক্তব্য শুনে বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

দুদকের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট বিশ্বজিত চাকমা জানান, দুদকের তদন্তে আসামিদের মধ্যে জেলা পরিষদের সাবেক তিন সদস্য এবং পরিবার ও পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক জেলা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়া এবং অপর চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়। যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তারা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

Exit mobile version