বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শিশুদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

খাদ্য-সহায়তা অর্ধেকের বেশি কমাচ্ছে
fec-image

১ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা মানুষের মধ্যে ৫২ শতাংশই শিশু। আর এদের মধ্যে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীর সংখ্যা বেশি। আর প্রতি বছর ক্যাম্পে প্রায় ৩০ হাজার শিশুর জন্ম হয়। শিশুদের অভিভাবকরা বলছেন বাংলাদেশে জন্ম নিলেও তাদের সন্তান মিয়ানমারের নাগরিক। তারা মিয়ানমারের নাগরিকত্ব ফেরত দেবার দাবি জানান।

২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ঢলে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে কক্সবাজার আসেন মোহাম্মদুর রহমান। ছোট্ট একটি ঘরে পরিবারের ৫ জনকে নিয়ে থাকেন। কক্সবাজারেই জন্ম হয় তিন শিশুর। কিন্তু তাদের নেই কোনো নাগরিকত্ব। ১৯৮২ সালে মিয়ানমার এক আইনের মাধ্যমে ১৩৫টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও, মুসলিম রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব না দিয়ে করে রাষ্ট্রহীন।

মোহাম্মদুর রহমান বলেন, আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা এখন ৫ জন। আমার তিন সন্তানের জন্ম বাংলাদেশে। আমার বাচ্চারা কোনো দেশেরই নাগরিক না।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা বলছে, ২০১৭ সালের পর থেকে ১০ লাখ ৩ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে। এরমধ্যে শিশু ৫২ শতাংশ ও প্রাপ্ত বয়স্ক ৪৪ শতাংশ। শিশুদের মধ্যে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীর সংখ্যা বেশি। শরণার্থী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশন জানায়, প্রতি বছর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্ম হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার শিশুর।

ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা মুসলিমরা বলছেন, তাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব ফেরত দেয়া হোক। এমনকি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা একাধিক শিশুর বলছে, তারা নিজের দেশে ফিরে যেতে যায়। অন্যদিকে জাতিসংঘ বলছে, সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবার কোন সুযোগ নেই বলেও মত গুতেরেসের ।
সূত্র : চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন