বিজিপি ও বিজিবির পতাকা বৈঠক শেষে ৯বাংলাদেশী জেলে ফেরত
মিয়ানমার বিজিপি কর্তৃক নাফনদী হতে ধরে নিয়ে যাওয়া ৯জেলেকে অবশেষে ফেরত আনা হয়েছে। তাদের ফিরিয়ে আনতে ২৫ নভেম্বর (বুধবার) সকাল ১০টার দিকে টেকনাফস্থ বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাট হতে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ ফয়সল হাসান খান ( পিএসসি) এর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি মিয়ানমারের মংডুতে যায়। মিয়ানমারের ১নং এন্ট্রি/এক্সিট পয়েন্ট মংডুতে টেকনাফ ব্যাটলিয়ন (২বিজিবি) ও (৪) বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মিয়ানমারের পক্ষে ৭ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন (৪) বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের পুলিশ লেঃ কর্ণেঃ জাও লিং অং।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ বিজিবির প্রতিনিধি দলের নিকট তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে। ফেরত আসা জেলেরা হচ্ছে, শাহপরীর দ্বীপ মৃত গোলাম হোসেনের পুত্র মোঃ নুরুল আলম (৪৮), সৈয়দ হোসেনের পুত্র ইসমাইল প্রকাশ হোসেন (১৯), আবদুস সালামের পুত্র মোঃ ইলিয়াছ(২১), মোহাম্ম জাকারিয়ার পুত্র মোঃ ইউনুছ(১৬), সৈয়দুর রহমান প্রকাশ বুলু মাঝির পুত্র মোহাম্মদ আলম প্রকাশ কালু(১১), ছলিম উল্লাহর পুত্র সাইফুল (১৭), মৃত বশির আহমদের পুত্র সলিম উল্লাহ(২৫), মৃত শাহ আলমের পুত্র নুর কামাল(১৩), মৃত রহিম উল্লাহর পুত্র মোঃ লালু মিয়ার (২৩)।
সুত্রে জানা যায়, গেল ১০ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে নাফনদীতে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপঘোলা পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিনের মালিকানাধীন একটি নৌকায় কালা মাঝির নেতৃত্বে ৯ জন জেলে সাগরে মাছ শিকারে যায়। মৎস আহরনকালে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল বিকল হয়ে মিযানমারের জলসীমায় অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এসময় মিয়ানমারের বিজিপি’র টহল দল কর্তৃক তাদের আটক করে মিযানমারে নিয়ে যায়।
এঘটনার পর জেলেদের ফেরত চেয়ে বিজিবি ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল। মিয়ানমার থেকে ফিরে এসে সাংবাদিকদের জানান, অত্যন্ত সৌহার্দপুর্ণ এবং আন্তরিক পরিবেশে পতাকা বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বৈঠক শেষে সে দেশে ধরে নেওয়া ৯ জেলেকে ফেরত দিয়েছে। ফেরত আসা জেলেদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।