parbattanews

বিজিপি ধরে নিয়ে গেছে বাংলাদেশি তিন ট্রলার

ফাইল ছবি

মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ধরে নিয়ে গেছে তিনটি বাংলাদেশি ট্রলার।

গতকাল সোমবার (৮ নভেম্বর)  বেলা ১১টায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে মিয়ানমারের সিটওয়ে ( আকিয়াব) শহরের মংডু এলাকার আংডাং-কুলুং উপকূল থেকে ধরে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।

গত শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকালে টেকনাফ পৌর সভার কায়ুকখালী ঘাট দিয়ে এসব ফিসিং ট্রলার গুলো বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে রওয়ানা দিয়েছিল। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেখানে আটক নৌকার মালিক ও মাঝি টেকনাফ পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড নাইট্যং পাড়ার বাসিন্দা ফজল করিম ওরফে নাতির ছেলে নুরুল ইসলাম।

তিনি জানান, অন্যান্য দিনের মত গত ৫ নভেম্বর বেশ কটি ফিশিং ট্টলারের মত আমার বাবা নিজ ট্রলার নিয়ে মাছ শিকারে বের হয়। কিন্তু গত সোমবার ৮ নভেম্বর দুপুরে জানা যায় বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার সীমান্তে আংডাং কুলুং এলাকা থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা তিনটি বাংলাদেশী ফিশিং ট্রলার ধরে আটকে রাখে।

টেকনাফ পৌর সভার নাইট্যং পাড়ার ফজল করিম, ৭নং ওয়ার্ড চৌধুরী পাড়ার সালমান ও ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ জালিয়া পাড়ার মো. ছৈয়দ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফজল করিম নিজে মাঝি হিসেবে ৮ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে গেলেও সালমানের মালিকানাধীন নৌকার মাঝি মোবারক, মো. ছৈয়দের মালিকানাধীন নৌকার মাঝি ছৈয়দ আলমসহ তিনটি ট্রলারের ১৮-২০ জন মাঝিমাল্লা গত সোমবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকে আটকা রয়েছে মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশের হাতে।

একটি সূত্র মতে জানা গেছে, প্রতি ট্রলারে দু” লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। তা নিয়ে দেনদরবারের কারণ ফিশিং ট্রলার সংশ্লিষ্টরা কেউ মুখ খুলছে না। বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়নি।

এ বিষয়ে কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশনে কেউ অবগত করেনি বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানান। তবে স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার নাইম এর মোবাইল সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বিজিবি টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ন উপ-পরিচালক লে. এম মোহতাসিম বিল্লাহ শাকিল জানান, ” তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

এর আগেও চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে টেকনাফ পৌর সভার ৭নং ওয়ার্ড চৌধুরী পাড়ার নুরুল বশর মিজ্জির ছেলে মো. রফিকের ফিশিং ট্রলারসহ আরও তিনটি ট্রলার আটকে রেখে জোরপূর্বক মাছ কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল একই পয়েন্ট থেকে।

Exit mobile version