parbattanews

রাঙামাটিতে বিজিবির ধাওয়ায় পাচারকারী গাড়ি উল্টে নিহত ১: বিজিবি ক্যাম্পে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ

kjki

স্টাফ রিপোর্টার:

রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে চাঁন্দের গাড়ি খাদে পড়ে ১ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে বিজিবি ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিজিবি ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির জেলার চন্দ্রঘোনা থানার অন্তর্গত রাইখালী ইউপির ১৯ বিজিবির আওতাধীন ডংছড়ি ক্যাম্পে রাত ৮ টার দিকে কাঠ বহনকারী একটি চাঁন্দের গাড়ি আসলে ক্যাম্পে দায়িত্বরত বিজিবির সদস্যরা গাড়িটি থামানোর জন্য সিগনাল দেয়্। কিন্তু চালক গাড়ি না থামিয়ে বিজিবি ক্রসলাইনের বাঁশ ভেঙে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যায়। এতে বিজিবির সদস্যরা ধারণা করে গাড়িয়ে কোনো দামী চোরাই পণ্য বা সন্ত্রাসী অস্ত্র বহন করছে। ফরে তারাও গাড়িটির পিছু নেয়। এমতাবস্থায় গাড়িটি বেপরোয়াভাবে চলতে গিয়ে ক্যাম্প থেকে ৫০০ গজ দুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।

এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত ও দুইজন আহত হয়। এসময় স্থানীয় পাহাড়ী জনগোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিহত লাশকে বিজিবি ক্যাম্পের নিচে পাহাড়ের পাদদেশে এনে রেখে এই হত্যাকান্ডের জন্য বিজিবিকে দায়ী করে এলাকাবাসীকে উত্তেজিত কর তোলে।

এতে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে বিজিবি চেকপোস্টে হামলা করে প্রথমে ভাংচুর ও পরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে বিজিবি ক্যাম্প কমাণ্ডার ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

বিজিবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের রিজিয়ন কমাণ্ডার ব্রি. জে. হাবিবুল করিম পার্বত্যনিউজকে বলেন, যিনি নিহত হয়েছেন তাকে দেখে বোঝা গেছে, তার বুকের একপাশের হাড় ভেঙে গেছে, মুখ থেতলে গেছে। গাড়ি দূর্ঘটনায় মৃত্যুর কারণ। বিজিবির উপর হামলা ও ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দিলেও স্থানীয় বিজিবি সহিষ্ণুতা দেখিয়ে কোনো একশনে না গিয়ে ফাঁকাগুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পার্শ্ববর্তী ব্যাটালিয়ন থেকে অতিরিক্ত জনবল নিয়ে ব্যাটালিয়ন কমাণ্ডার স্বয়ং ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান, পুলিশ, ফায়ার ব্রিগ্রেড, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং মৃত্যুর কারণ দূর্ঘটনা বলে নিরূপণ করেন।

চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

রাঙামাটি জেলার পুলিশ সুপার সাইদ তারিকুল হাসান পার্বত্যনিউজকে এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

Exit mobile version