parbattanews

বিজিবির ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলায় এনজিও কর্মীর জামিন

বিজিবির ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলায় অভিযুক্ত এনজিওকর্মীকে জামিন দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিচারক তামান্না ফারাহর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

এনজিওকর্মীর আইনজীবি আবদু শুক্কুর সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আদালতের নির্দেশক্রমে সমনের তারিখে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন ওই নারী এনজিওকর্মী। আদালত তার আবেদন আমলে নিয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন।

বিজিবির আইনজীবি সাজ্জাদুল করিম জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে এনজিও কর্মীটি বিজিবির মতো একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর মানহানি করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে সেটি ওঠে এসেছে। আসামি জামিন পেলেও মামলার কার্যক্রম চলবে বলে জানান বাদি পক্ষের আইনজীবী।

তথ্যমতে, গত ৮ অক্টোবর টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের দমদমিয়া চেকপোস্টে নিয়মমতো অন্যদের সাথে ব্লাস্টের এক নারী কর্মীকেও তল্লাশি করা হয়। অটোরিকশার যাত্রী ওই নারী পরে বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। তার বক্তব্য দিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় অনেক গণমাধ্যম তাদের অনলাইন ভার্সনে প্রতিবেদনও প্রচার করে। এ নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায়। ওই নারী কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এসে ভর্তি হন। কিন্তু কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে সেই নারী এনজিওকর্মীকে ধর্ষণের আলামত পাননি বলে রিপোর্ট দেন।

এর প্রেক্ষিতে গত ১০ নভেম্বর কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে ওই নারীর বিরুদ্ধে টেকনাফ বিজিবির নায়েব সুবেদার মোহাম্মদ আলী মোল্লা বাদী হয়ে শতকোটি টাকার মানহানির অভিযোগে মামলা করেন।

গত ২২ নভেম্বর টেকনাফ থানার ওসি (অপারেশনস) ইন্সপেক্টর শরিফুল কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগকারী ব্লাস্ট এনজিও কর্মীর বিরুদ্ধে বিজিবি’র চাঞ্চল্যকর মানহানি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। গত ২২ নভেম্বর শুনানী শেষে ১৪ জানুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার জন্য আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাঃ হেলাল উদ্দিনের আদালত।

Exit mobile version