বিদ্যুৎ গিলে খাচ্ছে নাইক্ষ‍্যংছড়ির ৫ শতাধিক অটোরিকশা

fec-image

পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ‍্যংছড়ি ও পাশ্ববর্তী রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া, গর্জনিয়া দুটি ইউনিয়নে ব‍্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশা (টমটম) ছেয়ে গেছে প্রধান সড়ক ও অলিগলি। এসব অবৈধ যানবাহনের ব‍্যাটারি গুলো বিদ্যুৎ দিয়ে চার্জ করতে হয়। যার ফলে বিদ্যুতের উপর একটা বড় চাপ সৃষ্টি করছে।

জানা যায়, উল্লেখিত এলাকা জুড়ে রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য চার্জ করার গ‍্যারেজ আছে। ব্যাটারিচালিত রিকশা বা ইজিবাইক এখানে একবার চার্জ করতে গ‍্যারেজ মালিকরা নেন ভাড়া নেন ১৫০ টাকা। যে অনিয়ম বর্তমানে নিয়মে পরিনত হয়েছে। তবে এতে জড়িত আছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মরত একশ্রেণীর অসাধু ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী। অর্থের বিনিময়ে অবৈধকে বৈধতার খেতাব দিচ্ছেন।

সূত্রে জানা যায়, একটি ব্যাটারিচালিত ইজবাইক (টমটম) প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জ করতে ৭ ঘন্টা একাধারে চার্জে লাগিয়ে রাখতে হয়। এ অবৈধ ব্যাটারিচালিত ইজবাইক (টমটম) রাস্তায় নির্বিঘ্নে চলাচল করতে, নাইক্ষ‍্যংছড়ি থানা পাশ্ববর্তী রামু উপজেলার নিয়ন্ত্রণাধীন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িকে মাসিক চুক্তিতে ম‍্যানেজ করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘বিদ্যুতের জন্য হাসফাস অবস্থা মানুষের, সারাদিন কষ্ট করে মানুষ রাতে ঘুমাতে পারে না বিদ্যুতের অভাবে।তাই অনতিবিলম্বে বিদ্যুৎ গিলে খাওয়া ব্যাটারিচালিত ইজবাইকের (টমটম) বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের শক্ত ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

ব্যাটারিচালিত ইজবাইক (টমটম) চালক সোনা মিয়ার সঙ্গে হলে তিনি বলেন, শত শত মানুষ এই এলাকায় টমটম চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। কোন কারণে সরকার যদি বন্ধ করে দেয়, তাহলে এলাকা জুড়ে নেমে আসবে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির মত ঘটনা। কারণ অনেক বেকার যুবক ও ছাত্র এ পেশায় এসে সাচ্ছন্দ্যে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।

রামু বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের এক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্যাটারিচালিত ইজবাইক (টমটম)’র গ‍্যারেজে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বা বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি।

বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুত সাশ্রয়ের জন্যে যেখানে সরকার মরিয়া সেখানে অযাচিত বিদ্যুৎ ব্যবহাররে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস বলেছেন, তিনি নিজেও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের বিষয়ে সচেষ্ট। এছাড়া তিনি সকলকে আইন মেনে এ বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করার জন্যে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নাইক্ষ্যংছড়ি, বিদ্যুৎ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন