parbattanews

বিদ্যুৎ না থাকায় টিভি ক্লাস পাচ্ছেনা রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ির হাজারো শিক্ষার্থী

সরকার শিক্ষার্থীদের কল্যাণে টিভিতে ক্লাসের ব্যবস্থা করলেও বিদ্যুতের কারনে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ির কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অধিকাংশ সময়।

বুধবার (৬ মে) এর আগে মঙ্গলবার ও রোববার এভাবে বেশ ক’দিন ধরে এ ক্লাস শুরুর কিছু সময় আগে বিদ্যুৎ চলে যায়। ফলে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে সরকারের দেয়া সুযোগ সুবিধা থেকে।

শিক্ষার্থী আবু ছালেহ, ফাহিম, ওয়াই মং ও ওথাইলা মার্মা জানায়, তারা কেউ দশমে কেউবা অষ্টমে আবার কেই পড়ে পঞ্চম শ্রেণীতে। সম্প্রতি করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করলে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। এভাবে ক’দিন অতিবাহিত হওয়ার পর সরকার তাদের কল্যাণে সংসদ টিভিতে প্রথম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত দক্ষ শিক্ষক দিয়ে ক্লাসের ব্যবস্থা করেন। এতে দারুন খুশি তারা। এজন্যে তারা নিয়মিত এ ক্লাসের জন্য মরিয়া।

তারা আরো জানান, তাদের এ পড়া-লেখার সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে বিদ্যুৎ বিভাগ ও ডিস ক্যাবল অপারেট মালিকরা। ২৯ মার্চ এ ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত থাকলেও ৭ এপ্রিল থেকে পুরোদমে এ ক্লাস চালু হয়। সকালে ক্লাস শুরু বিকাল নাগাদ চলে। এতে মাঝে মাঝে বিদ্যৎু চলে গেলে সে সময়ের শিক্ষার্থীরা বিরত হতে হয়। এ সময়ে বিদ্যুৎ বিভাগ কেন এ লোডশেডিং করে তাদের বোধে আসছে না।

এভাবে রামুর বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও অনুরূপ অভিযোগ করেন। বিশেষ করে কচ্ছপিয়া, গর্জনিয়া, কাউয়ারখোপ ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যুৎ আসে আর যায়। এছাড়া ডিস ক্যাবল অপারেটর মালিকরাও তাদের নেটওর্য়াক ঠিকভাবে যাচাই করেন না। ক্লাস চলাকালে ঝিরঝির বা আবছা-আবছা টিভির স্ক্রীন থাকে সব সময়।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ছালেহ আহমদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদত হোসেন বলেন, প্রায় প্রতিদিন এই অবস্থায় শিক্ষার্থীরা তার কাছে বার বার অভিযোগ দেয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, সরকার চাচ্ছে পড়া-লেখা চলুক। এ জন্যে আমার ঘরে আমার স্কুল ব্যবস্থা চালু করেছেন।

কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ বিষয়টি আমলে আনছে না কেন! প্রায় প্রতিদিন ক্লাসের সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। যা মেনে নেয়াা যায় না। তার দাবী ক্লাসের পুরো সময় নিবিড়ভাবে বিদ্যুৎ চালু রাখতে হবে।

এ বিষয়ে রামু বিদ্যুৎ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী মঈনুল ইসলাম বলেন, এটি ভূল ইনফরমেশন। আজ ছিলো না ঠিকই। প্রতিদিন থাকে না এটা ঠিক না। মাঝে মাঝে হলেও হতে পারে। কারণ ঝড়-বৃষ্টিতে এ রকম হয়।

তবে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, ভবিষ্যতে তিনি বিষয়টি আরো ভালোভাবে দেখবেন এবং ব্যবস্থা নেবেন।

Exit mobile version