শাহজাহান কবির সাজু, পানছড়ি প্রতিনিধি:
সবুজ অরণ্যেয় পাখির কল-কাকলিতে মুখরিত ভারত সীমান্ত ঘেঁষা উপজেলাটির নাম পানছড়ি। পাহাড়ী-বাঙালীর সহাবস্থান ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে এই উপজেলার যথেষ্ট খ্যাতি থাকলেও বিনোদনের দিক দিয়ে আজো অনেক পিছিয়ে এই পানছড়ি। অনেক উদীয়মান প্রতিভা থাকলেও সংস্কারের অভাবে তারা আগ্রহ হারিয়ে কেউ কেউ হচ্ছে পথভ্রষ্ট। বর্তমানে উপজেলার বিনোদনের একমাত্র সম্বল হচ্ছে বাউরা পাড়া ব্যান্ড দল। যে কোন জাতীয় দিবস, বিয়ে, দলীয় ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তারা রং-বেরংয়ের পোশাকে সজ্জিত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন গানের সুরে ক্ষণিকের আনন্দে মন মাতিয়ে তোলে আগত দর্শনার্থীর।
পানছড়িতে সদ্য শেষ হওয়া ৪৪তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল ও মাদরাসার গ্রীষ্মকালীন খেলাধুলায় মাঠের চারিপার্শ্বে দেখা গেছে উপচে পড়া ক্ষুদে দর্শনার্থী। দর্শনার্থী হয়ে মাঠে আসা পানছড়ি বিভিন্ন বিদ্যালয় পড়ুয়াদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা বছরে দুইবার গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন খেলাধুলায় বিনোদনের সুযোগ পায়। সারা বছর লেখাপড়ার পাশাপাশি শুধুমাত্র সপ্তাহখানেকের বিনোদনে তারা অসন্তোষ প্রকাশ ও ক্ষোভ ঝাড়লেন। কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী জানালেন স্কুল পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, নাচ-গান, জাতীয় দিবসগুলোতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মেধাবীদের সংবর্ধনার আয়োজন করলে বিনোদন এবং লেখাপড়া দুটোতেই ছাত্র-ছাত্রীরা ব্যাপক উৎসাহ পাবে।
বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়, পানছড়িকে বিনোদনমুখী করার লক্ষ্যে ২০১১-১২ অর্থবছরে বাদ্যযন্ত্র ক্রয়ের লক্ষ্যে প্রায় ২লক্ষাধিক টাকা প্রদান করা হয়। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে ক্রয় কমিটির প্রধান নিজেই কিছু বাদ্যযন্ত্র ক্রয় করে। সেই ২০১২ সালে ক্রয়কৃত বাদ্যযন্ত্র আজো বাক্সবন্দী রয়েছে বলে জানা গেছে। অনেকের ধারণা এতদিনে এইসব বাদ্যযন্ত্রের বাক্সে হয়তো বিড়াল-ইদুরের ঘর-বসতি চলছে।
কয়েকজন অভিভাবকের সাথে আলাপকালে জানায়, বর্তমান যুগের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিনোদন খুবই জরুরী। না হলে তারা বিপথগামী হয়ে সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হবে।