বিভিন্ন অজুহাতে ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা

fec-image

ক্যাম্প থেকে কৌশলে বেরিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। পরবর্তীতে এসব রোহিঙ্গারা পার্সপোট সংগ্রহ করে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এভাবে অন্যত্রে চলে যাওয়ার সময় উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন আর্মি চেকপোস্টে আটক হয় মা’ছেলেসহ ২জন। তারা চিকিৎসার কথা বলে ক্যাম্প ইনচার্জের নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল।

আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন এদের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে তারা সম্পূর্ণ সুস্থ, কিন্তু ক্যাম্প ছেড়ে ভিন্ন জায়গায় চলে যাওয়ার সন্দেহে তাদেরকে আটক করে পরে ক্যাম্পে ফেরত পাঠায়। এভাবে ক্যাম্প থেকে পালানোর সময় পুলিশ, আর্মি, বিজিবি চেকপোস্টে প্রায় ৫৮হাজার রোহিঙ্গা আটক হয়। যাদেরকে পরে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয় বলে দায়িত্বশীল সুত্র জানিয়েছে।

জানা গেছে, উখিয়া-টেকনাফে ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প রয়েছে। এখানে আশ্রয় নিয়েছে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নির্যাতনের শিকার হয়ে বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে এদেশে পালিয়ে এসেছে। তাদের মধ্যে অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্য করে এখন স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। তারা প্রতিদিন ক্যাম্প ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে। স্থানীয় দালাল চক্রের সহযোগিতায় মালয়েশিয়া, আরব আমিরাত, সৌদি আরব সহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকে এসব রোহিঙ্গারা।

রফিক নামের এক এনজিওকর্মী জানান, তার গাড়ীতে করে ২জন রোহিঙ্গা চিকিৎসার কাগজপত্র নিয়ে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন, এসময় আর্মি চেকপোস্টে তল্লাশীর সময় তারা সঠিক উত্তর দিতে না পারায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের ২জনকে বসিয়ে রাখে। এদের দেখে মনে হয়েছে তারা সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ। কিন্তু ক্যাম্প ইনচার্জের নিকট থেকে অনুমতি নিয়েছে চিকিৎসার কথা বলে।

তাদের কাগজপত্রে দেখা গেছে, তারা ২জনই থাইংখালী শফিউল্লাহকাটা ক্যাম্পের আশ্রিত রোহিঙ্গা। এরা হলেন- এনাম হোসেন (২২) সৌমুদা বেগম (৬১)। এখানে সৌমুদাকে রোগী সাজিয়ে তারা ক্যাম্পের বাইরে চলে যাচ্ছিল। পরে তাদেরকে ক্যাম্পে ফেরত পাঠায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

পুলিশের দায়িত্বশীল সুত্রে জানা গেছে, নানা অজুহাত তুলে ক্যাম্পে বাইরে যাওয়ার সময় এ পর্যন্ত বিভিন্ন চেকপোস্টে আটক ৫৮হাজার রোহিঙ্গাকে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গারা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন