বিয়ের আগে কাঞ্চনের থেকে শুধু একটাই জিনিস চেয়েছিলাম: শ্রীময়ী

fec-image

তারকাদের নিয়ে ভক্তদের কৌতূহল থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু কাঞ্চন-শ্রীময়ীর দাম্পত্য নিয়ে যেন অনুরাগীদের কৌতূহলের মাত্রা খানিকটা বেশি। বিয়ের আগে তারকা বিধায়কের থেকে ঠিক কী চেয়েছিলেন অভিনেত্রী, নারী দিবসে সেটাই খোলাসা করলেন তিনি।

গেল শনিবার কালীঘাটে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন শ্রীময়ী। যেখানে তিনি বলেন, “আমিও উত্তর কলকাতার রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে। আমার বাড়িতে বা আমার মা এত প্রেস, মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া দেখতে অভ্যস্ত নন। আমি যখন কাঞ্চনকে বিয়ে করার কথা ভাবি, তখন বলেছিলাম, সোনা-গয়না নয়, আমাকে যেটা দিতে হবে, সেটা সম্মান। যেখানে আমি মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারব।

‘এখানে বসে থাকা প্রত্যেক পুরুষকে তাই বলব, স্ত্রীদের টেকেন ফর গ্রান্টেড ভাববেন না। আর বলব, কোনও ঘটনা ঘটলে ফেসবুকে না লিখে, রাস্তাঘাটে যখন ঘটনা ঘটে তখন এগিয়ে যান, চিৎকার করুন। কিছু ঘটে যাওয়ার পর মোমবাতি মিছিল করে লাভ নেই। সকলের কাছে আমার বিনীত আবেদন, মান আর হুঁশটাকে বাঁচান, কারণ, আমরা মানুষ।’

পুরুষদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তাও দেন অভিনেত্রী। বলেন, ‘আমিও একজন নারী, কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছি। আমি তো চাইব আমার মেয়েও নিজের পায়ে দাঁড়াক। আমি আজ সমস্ত পুরুষদের বলব, যারা ভাই, বাবা কিংবা স্বামী, তাদের বলব- নারীদের সম্মান দিন, সেটাই তাদের কাছে সেরা পাওনা।’

নারী দিবস নিয়ে তার ভাবনাও স্পষ্ট করেন শ্রীময়ী। অভিনেত্রীর মতে, “আমার মনে হয় নারী দিবসটা প্রত্যেক দিনের হওয়া উচিত। আমরা একটা দিন নারীদের সম্মান করছি, মঞ্চে ডেকে উত্তরীয়, পুরস্কার দিচ্ছি। আমার মনে হয় নারী দিবস সেদিনই প্রকৃতভাবে হবে, যেদিন প্রতিটা নারীকে প্রত্যেকদিন সম্মানিত করা হবে। আমার কাছে নারীর অর্থ হিসাবে আমি আমার মায়ের দিকে দেখে এসেছি।’

তিনি আরও বলেন, “আমার মা প্রত্যেকদিন কাঁধে ব্য়াগ নিয়ে কাজে যান না, অফিসে যান না, কোনও বেতন পান না। তবে আমার মা ২৪ ঘণ্টা নিঃস্বার্থভাবে ডিউটি পালন করেন পরিবারের জন্য। আমার পরিবারে মা দুই বোনকে মানুষ করেছেন, আমার বাবা কখন অফিস যাবেন, সেই মতো টিফিন করে দেওয়া থেকে শুরু সকাল থেকে বাড়ির সমস্ত কাজ করে চলেছেন। তাহলে সেই নারীকে কি আমরা সম্মান দেব না?”

শ্রীময়ীর সংযোজন, “আর আমার তো মনে হয়, বাড়িতে যে পরিচারিকা, যিনি কাজের দিদি, তাদের জন্য়ও নারী দিবস হওয়া উচিত। কারণ, তাদের জন্য স্পেশাল কোনও অ্যাওয়ার্ড হয় না। তাদের জন্য স্পেশাল কোনও অনুষ্ঠান হয় না।”

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন