বিলাইছড়ি নীলাদ্রি রিসোর্ট যেন পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে
প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা। পাহাড়, নদী, লেক এবং ছড়া প্রবাহিত হয়েছে এই উপজেলার কোল জুড়ে। এক কথায় প্রকৃতি যেন, আপন মাধুরিতে সাজিয়েছে এ উপজেলাকে। পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে এখানে। বিশেষ করে পড়ন্ত বিকেলে কাপ্তাই লেকের মনোরম সৌন্দর্য দেখে যে কেউ হারিয়ে যেতে পারে কল্পনার রাজ্যে।
প্রকৃতি পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। এখানে বসে সূর্যোদয়ের অপরুপ দৃশ্য এবং বর্নিল আকাশে অস্তমিত সূর্যের নিদারুণ ক্যানভাস দেখার সুযোগ রয়েছে। এ উপজেলায় রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য ঝর্না। তৎমধ্যে ধুপপানি ঝর্না যেন প্রকৃতির এক অপরুপ সৃষ্টি। এ ছাড়া মুপ্পোছড়া ঝর্না, ন- কাটা ছড়া ঝর্না, গাছকাটা ঝর্না দেখতে শত শত পর্যটক ভীড় করে এখানে। তবে রাত্রিযাপনের জন্য এখানে ভালো কোন ব্যবস্থা ছিলো না এতেদিন। তাই বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ চৌধুরীর উদ্যোগে এবং এলাকার জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় গত আগস্ট মাসে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন হিলটপে গড়ে তোলা হয়েছে নীলাদ্রি রিসোর্ট ও শিশু পার্ক।
এছাড়া রিসোর্ট সংলগ্ন উপজেলা ক্যাফেতে আগত পর্যটকদের জন্য ঘরোয়া পরিবেশে উন্নত মানের খাবারের সু- ব্যবস্থা রয়েছে। নীলাদ্রি রিসোর্টে রয়েছে ৩ টি উন্নত মানের কটেজ। কটেজগুলোর নামকরণ করা হয়েছে উপজেলায় অবস্থিত ঝর্না এবং নদীর নামকরন অনুযায়ী। রিসোর্টে প্রবেশের মুখে ঝুলন্ত ব্রিজ এবং রিসোর্ট এর কেন্দ্রে পাহাড়ের ঘাঁ ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে মাচাং। যেখানে বসে দূর পাহাড়ের মেঘের ছটা, পূর্নিমার আলো অবলোকন করতে পারছেন পর্যটকরা। এছাড়া রোদ বৃষ্টির ছোঁয়ায় বর্নালী রংধনু দেখতে পাওয়া যায় এখানে বসে।
বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ চৌধুরী জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে আগত পর্যটকদের থাকার সু – ব্যবস্থার মাধ্যমে এই উপজেলাকে ব্র্যান্ডিং করা, এলাকার জনসাধারণের বিনোদনের ব্যবস্থা করা এবং সার্বিকভাবে এলাকার আত্মসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার অংশ হিসাবে নীলাদ্রি রিসোর্ট ও শিশু পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়।
তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে এখানে শত শত পর্যটক এসে রাত্রি যাপন করছেন।
বিলাইছড়ি উপজেলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এই এলাকার অধিবাসী বিপ্লব বড়ুয়া বাপ্পি ও ঝিকু মারমা জানান, বিলাইছড়ি উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে এই রিসোর্ট এবং শিশু পার্ক নির্মাণের ফলে প্রতিদিন বিকেল বেলা এলাকার শিশুরা মুক্ত বাতাসে বেড়াতে চিত্ত বিনোদনের সুযোগ পাচ্ছে।
এই রিসোর্টে রাত্রিযাপন করতে আসা ঢাকা হতে আগত সোহাগ – রাণী দম্পতি জানান, পরিবার পরিজন নিয়ে এই উপজেলায় ভ্রমণ করে এই রিসোর্টে রাত্রিযাপন করেছি। প্রকৃতির মাঝে ২/১ দিন সময় কাটানোর জন্য এই রিসোর্ট একটি আদর্শ স্থান। মন চায় আরো কিছু দিন থেকে যাই।