বিশেষ নজরদারিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প: প্রত্যাবাসন বিরোধী কাজে জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা

fec-image

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প গুলোতে আর লাগামহীন কোন কর্মকান্ড কাউকে করতে দেয়া হবেনা। প্রত্যাবাসন বিরোধী কোন কাজে জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শহীদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে মাসিক এনজিও সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে অনেকটা হুশিয়ারি দিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।

কামাল হোসেন আরো বলেন, গত ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত অনুমোদনহীন রোহিঙ্গা সমাবেশের বিষয়ে বহুমুখী তদন্ত চলছে। এরমধ্যে যদি কোন এনজিও অথবা আইএনজিও রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন বিরোধী কাজে পরোক্ষভাবেও জড়িত ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া যায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

এজন্য গোয়েন্দা নজরদারিও অনেক বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ তদন্তে সাম্প্রতিক সময়ে কার কি ধরণের নেতিবাচক ভূমিকা ছিলো তা পূঙ্খানুপুঙ্খরূপে উঠে আসবে।

এ সময় রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে কর্মরত প্রায় সকল এনজিও’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সমন্বয় সভাটি মূলতঃ গত ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা শরনার্থী সমাবেশ ও গত ২২ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় ব্যর্থ প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনায় সীমাবদ্ধ ছিলো।

জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, ক্যাম্পে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা ডিউটি শেষে বিকেলে কক্সবাজার চলে আসে। তাই প্রতিদিন সন্ধ্যা হতে পরদিন সকাল ৮-৯ টা পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প গুলোতে কোন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা থাকেন না। তাই এ সময়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা অপরাধ কর্মে জড়িত হয়ে পড়ে। তখন স্থানীয় জনগোষ্ঠী হুমকির মুখে পড়ে।

এ জন্য রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পগুলোতে সরকারি দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের রাতে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া ক্যাম্প গুলোতে প্রয়োজনীয় সরকারি লোকবল বৃদ্ধি করা হবে।

জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন সভায় আরো বলেন, গত ২৫ আগস্টের সমাবেশে কত হাজার রোহিঙ্গার সমাবেশ ঘটেছে সেটা সুনির্দিষ্টভাবে না জানলেও এ সমাবেশে ৬৫ হাজার টি শার্ট সরবরাহ করা হয়েছে মর্মে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এছাড়া একইদিন সমাবেশে ইংরেজি লেখা পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড, হ্যান্ড মাইক, লুঙ্গি ইত্যাদি কোথা থেকে, কিভাবে এসেছে তাও তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সতর্কতার সাথে সরকারি সকল নির্দেশনা পালনের জন্য এনজিও প্রতিনিধিদের প্রতি আহবান জানান।

সভায় এডিসি (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আল আমিন পারভেজ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: এনজিও, রোহিঙ্গা, শরণার্থী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন