parbattanews

উখিয়া-টেকনাফের ১০০০ পরিবারকে গাছের চারা বিতরণ

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয় ১০০০ পরিবারের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেছে দেশের অন্যতম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ফাউন্ডেশন।

জার্মান ভিত্তিক দাতা সংস্থা মাণ্টিজার ইন্টারন্যাশনাল-জার্মানির অর্থায়নে কোস্ট ফাউন্ডেশন ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর হতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য কোস্ট একর্ড নামক তিন বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আগমনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত উখিয়া উপজেলার পালংখালী এবং টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের স্থানীয় একহাজার পরিবারের স্থায়িত্বশীল অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনয়নের লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

২০২১ সালের আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘প্রতিবেশ পুণরুদ্ধার, হোক সবার অঙ্গীকার’ এর সাথে সমন্বয় রেখে কোস্ট একর্ড প্রকল্প স্থানীয় ১০০০ নারীদের হাতে সপ্তাহব্যাপী গাছের চারা বিতরণ করে।

কক্সবাজার জেলায় প্রায় ২৪ লাখ মানুষের পাশাপাশি উখিয়া, টেকনাফে ১০ লক্ষের ও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাপ রয়েছে। যার ফলে কক্সবাজারে পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে এবং পানি হয়ে যাচ্ছে লবণাক্ত। বাসস্থান তৈরির লক্ষ্যে অধিক গাছপালা কাটার ফলে অক্সিজেনের পরিমান কমে যাচ্ছে। এই দিবসটি পালনের মধ্য দিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশের এ বিপর্যয়ের বিষয়টিকে সকলের সামনে তুলে ধরে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালানো হয়। তারই ধারাবাহিকতায় উখিয়ার পালংখালীতে আলাদা আলাদাভাবে ৩৩টি দলে ৫১৫ পরিবারে এবং টেকনাফের হ্নীলায় ৩২ দলে ৪৮৫ পরিবারে পেয়ারা গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তাবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উপস্থিত অতিথিগণের পক্ষে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উখিয়া উপজেলা, মাহমুদুল করিম বলেন, “কোস্ট ফাউন্ডেশন অনেক আগ থেকেই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য কাজ করে আসছে। এছাড়া উখিয়া ও টেকনাফে আড়াই হেক্টর জায়গার গাছপালা কেটে ক্যাম্প স্থাপন করে, ফলে আমাদের পরিবেশ এখন খুবই ঝুঁকিতে। এই পরিবেশ রক্ষার জন্য গাছের চারা রোপন জরুরী। প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি করে চারা পেয়ে উপকারভোগীরা খুবই আনন্দিত।

উল্লেখ্য এর আগে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে কোস্ট একর্ড প্রকল্প অংশগ্রহণ করে। উক্ত মানববন্ধনে উখিয়া-টেকনাফসহ কক্সবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবেশ পুনরুদ্ধারে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

Exit mobile version