পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত রোড-শোতে অংশগ্রহণকারী সাইক্লিস্টদের আলীকদমের ডিম পাহাড়ের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে ১৬ জন সাইক্লিস্ট বান্দরবান-রুমা-থানচি হয়ে আলীকদম উপজেলার ডিম পাহাড়ের পৌঁছান। এ সময় তাদেরকে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য দুংড়ি মং মার্মা, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে সাইক্লিস্টদের টিম প্রধান বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক মশিউর রহমান জানান, ১৬ জন সাইক্লিস্ট বৃহস্পতিবার আলীকদম থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি গিয়ে তাদের সফর শেষ করবেন। পর্যটন বিকাশে পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে তাদের এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য দুংড়ি মং মার্মা জানান, পর্যটন শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে জেলা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত মতে রোড-শো আয়োজন করা হয়। ১৬ জন সাইক্লিস্ট বান্দরবান থেকে রুমা, থানচি, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়িতে সাইকেল নিয়ে ভ্রমণ করবেন। গত বুধবার রুমা-থানচি হয়ে ১৬ জন সাইক্লিস্ট থানচি-আলীকদম সড়ক হয়ে আলীকদম আসার পথে ডিম পাহাড়ে মিলিত হন। এ সময় তাদেরকে বরণ করে নিতে আলীকদম উপজেলা সদর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরের ডিম পাহাড়ে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।
এ সময় ডিম পাহাড়ে আলীকদম উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, ওসি, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হন। সাইক্লিস্টদের অভ্যর্থনা জানাতে ডিম পাহাড এলাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে মার্মা, ত্রিপুরা, ম্রো ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশ করেন উপজাতীয় তরুনীরা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের পর থেকে আলীকদমে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ে। বিশেষ করে আলীকদম-থানচি সড়কের ১৮ কিলোমিটার এলাকায় দামতুয়া ঝর্ণা দৃশ্যপটে আসার পর থেকে পর্যটকদের যাতায়াত বেড়েছে আলীকদমে। বক্তারা বলেন, পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে পর্যটকদের আনাগোনা আরো বাড়বে।