বুকে ভাঙ্গা হাড় নিয়ে কষ্টে দিন পার আমড়া বিক্রেতা ছালামের
ঝাল মুড়ি আর আমড়া বিক্রয় করে সংসার চলে অসুস্থ আব্দুল ছালামের। হাত পেতে ভিক্ষা করতে চান না, কাজ করেই খেতে চান তিনি।
এই প্রতিবেদকের সাথে কথাগুলো বলার সময় চোঁখে পানি চলে আসে রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার ৪ নম্বর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্বর্ণ টিলায় বসবাসরত অসুস্থ ঝাল মুড়ি ও আমড়া বিক্রেতা আব্দুল ছালামের (৬২)।
জানা যায়, ১৯৭৩ সালে ঢাকার নবাবপুর থেকে রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই নতুন বাজারে আসেন আব্দুল সালাম। স্ত্রী, ২ ছেলে আর ১ মেয়েকে নিয়ে দুঃখের সংসার তার। মা ও বাবা অনেক আগেই গত হয়েছে।
অসুস্থ আব্দুল ছালাম বলেন, ছেলে-মেয়েদের বিবাহ দেয়া হয়েছে। সকলে নিজ নিজ সংসারে চলে গেছে। সন্তানরা আর মা-বাবার খোঁজ-খবর নেয় না। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঝাল মুড়ি ও আমড়া বিক্রি করে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার ও দোকানের জন্য মালামাল ক্রয় করেন। এভাবে কোন রকম সংসার চালান তিনি।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর আগে চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজার থেকে রিকশাযোগে আমড়া আনার সময় সড়ক দুর্ঘটনার বুকের হাড় ভেঙ্গে যায়। সেই ভাঙ্গা হাড় নিয়ে কোন উপায় না পেয়ে সংসার চালানোর জন্য অসুস্থ অবস্থায় ঝাল মুড়ি ও আমড়া বিক্রি শুরু করি। এখন পর্যন্ত কোন ধরণের সহায়তা পায়নি।
এক পর্যায়ে আমড়া বিক্রেতা আব্দুল ছালাম বলেন, আমি হাত পেতে ভিক্ষা করতে চাই না। আমি কাজ করে খেতে চাই। তাই প্রশাসন, বিত্তবান বা বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে সহায়তা পেলে একটি পানের দোকান দিয়ে শেষ বয়সে জীবনটা কাটিয়ে দেওয়ার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।