parbattanews

বেইলি রোডে আগুন: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬, পরিচয় মিলেছে যাদের

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. সামন্ত লাল সেন। এছাড়া, এ ঘটনায় দ্বগ্ধ চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরাও শঙ্কামুক্ত নন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১ মার্চ) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক বিফ্রিং তিনি এ তথ্য জানান।

হস্তান্তর করা ২৭ জনের পরিচয় জানা গেছে।  তারা হলেন-

১। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৃত মো. জহিরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৫)
২। ঢাকার বংশালের মো. মোসলেমের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম (৩২)
৩। ঢাকার প্রাণ নাথ রায়ের মেয়ে পপি রায় (৩৩)
৪। ঢাকার যাত্রাবাড়ীর শিপন পোদ্দারের মেয়ে সম্পূর্ণা পোদ্দার (১২)
৫। কুমিল্লার এম এ এইচ গোলাম মহিউদ্দিনের মেয়ে জান্নাতিন তাজরিন
৬। ঢাকার পুরানা পল্টনের মো. আলীর মেয়ে নাজিয়া আক্তার (৩১)
৭। ঢাকার পুরানা পল্টনের সায়েক আহমেদের ছেলে আরহান মোস্তাক আহমেদ (৪৬)
৮। ঢাকার মতিঝিলের কবির খানের ছোট মেয়ে মাইশা কবির মাহি (২১)
৯। কবির খানের বড় মেয়ে মেহেরা কবির দোলা (২৯)
১০। ঢাকার মতিঝিলের জয়ন্ত কুমার পোদ্দারের স্ত্রী পম্পা সাহা (৪৭)
১১। মাদারীপুরের জাকির শিকদারের ছেলে মো. জিহাদ হোসেন (২২)
১২।  মৌলভীবাজারের ফজলুর রহমানে ছেলে সাংবাদিক আতাউর রহমান শামীম (৬৩)
১৩। যশোরের মো. কবির হোসেনের ছেলে মো কামরুল হাবিব রকি (২০)
১৪। টাঙ্গাইলের মোয়াজ্জেম মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান (২৭)
১৫। কুমিল্লার লালমাইয়ের কোরবান আলীর মেয়ে ফৌজিয়া আফরিন রিয়া (২২)
১৬। কুমিল্লা সদরের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে নুসরাত জাহান মিশু (১৯)
১৭। ঢাকার হাতিরঝিলের সৈয়দ মোবারকের মেয়ে ফাতিমাতুজ জোহরা (১৬)
১৮। মোবারক হোসেনের ছেলের সৈয়দ আব্দুল্লাহ (৮)
১৯। একই পরিবারের মুন্সি বাহারউদ্দিনের মেয়ে স্বপ্না আক্তার
২০। মুন্সিগঞ্জের মো আওলাদ হোসেনের মেয়ে জারিম তাসনিম প্রিয়তি (২০)
২১। নারায়ণগঞ্জর মো. আমজাদ হোসেনের ছেলে শান্ত হোসেন (২৩)
২২। ভোলার মইনুল হকের ছেলে দিদারুল হক (২৩)
২৩। ঢাকা হাতিরঝিলের সৈয়দ আবুল কাশেমের ছেলে সৈয়দ মোবারক (৪৮)
২৪। হবিগঞ্জর উত্তর কুমার রায়ের স্ত্রী রুবি রায় (৪৮)
২৫। একই পরিবারের প্রিয়াংকা রায় (১৮)
২৬। ঝালকাঠির দিপেশের পুতে তুষার হাওয়ালদার (২৬)
২৭। ঢাকা শান্তিনগরের ইসমাইল গাজীর ছেলে জুয়েল গাজী (৩০)

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, গতকাল রাতে অত্যন্ত মর্মান্তিক একটি দুর্ঘটনা ঘটে, যেটি কখনো কাম্য ছিল না। এই দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৪৬ জন মারা গেছেন। বাকি যে কয়জন হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নন। আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে তাদের জন্য চেষ্টা করছি। আমি এখন আবার চিকিৎসকদের নিয়ে বসব। একটি পরিকল্পনা করব কীভাবে কী করা যায়।

এর আগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধ রোগীদের দেখতে যান।

জানা গেছে, দগ্ধদের মধ্যে শেখ হাসিনা বার্নে ১০ জন ও দুইজন ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান।

তিনতলায় ছিল কাপড়ের দোকান। বাকি সব ছিল রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টগুলোতে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যে কারণে আগুনের তীব্রতা ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে।

Exit mobile version