বেপরোয়া হয়ে উঠছে রোহিঙ্গারা: অর্থ ও অস্ত্র দিচ্ছে এনজিওরা!


দুই বছর ধরে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা এখন চরম বেপরোয়া। নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে তারা। কতিপয় এনজিওদের উস্কানীতে কিছুই পাত্তা দিচ্ছেনা রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত করার জন্য এনজিওগুলো অব্যাহতভাবে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের উস্কানী দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যাতে ব্যর্থ হয় সে জন্য বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসরত প্রত্যাবাসন বিরোধী একটি চক্র ইতোমধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। চক্রটি রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে ফেরত না যায় সে জন্য ক্যাম্পে বিভিন্ন অপকর্ম, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে অশান্ত করে তুলছে ক্যাম্পগুলো। এর সঙ্গে কিছু এনজিও তাদেরকে ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছে। একারণে দুই দপায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ভন্ডুল হয়ে যায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে শিবিরগুলোতে আল ইয়াকিন নামের একটি সশস্ত্র রোহিঙ্গা গ্রুপ বেশ সক্রিয় রয়েছে। আল ইয়াকিন সংগঠনকে রোহিঙ্গাদের অনেকেই আরসা হিসেবেও বলে থাকে। সংগঠনটিতে রয়েছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা তরুণ ও যুবক। সাধারণ রোহিঙ্গাদের কাছে আল ইয়াকিন বা আরসা নামের সশস্ত্র সংগঠনটি একটি বড় ধরনের আতঙ্কের নাম।
রোহিঙ্গাদের মাঝে গড়ে উঠেছে একাধিক ‘ডাকাত বাহিনী’। এর মধ্যে শক্তিশালী হল ‘হাকিম’ বাহিনী ও ‘নবী হোসেন বাহিনী’। প্রায় প্রতিটি শিবিরেই রয়েছে রোহিঙ্গা ডাকাত বাহিনীর তৎপরতা।
ইতিপূর্বে সংবাদ মাধ্যমে খবর আসে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢল শুরু হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই আরএসও, আরাকান আর্মি, আরসা ও আল ইয়াকিন নামের অনেক সশস্ত্র গ্রুপের তৎপরতার কথা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উল্লিখিত দলগুলোর বাংলাদেশে তেমন অস্তিত্ব না থাকলেও এ মুহূর্তে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রাজত্ব কায়েম করছে আল ইয়াকিন নামের সন্ত্রাসী গ্রুপটি। এই দলের কারণে প্রায়ই ঘটছে হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে সব ধরনের জঘন্য অপরাধ।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যার পেছনেও আল ইয়াকিন বাহিনী জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে। এদের পেছনে প্রচুর অর্থ ও অস্ত্র দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এনজিও গুলোর।
গত সোমবার উখিয়ায় এনজিও সংস্থা মুক্তির অস্ত্র জব্দ করা থেকেই প্রমাণ পাওয়া যায় যে এনজিও সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
টেকনাফ-উখিয়ার ৩৪টি ক্যাম্পেই রাজত্ব করছে আল ইয়াকিন বাহিনীর সদস্যরা। দিনের বেলা সাধারণ রোহিঙ্গার বেশ ধরে থাকলেও সন্ধ্যার পর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে তারা। গত দুই বছরে টেকনাফ ও উখিয়াতে ৪২টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর বেশির ভাগের সঙ্গেই আল ইয়াকিন বাহিনী জড়িত বলে জানা গেছে।
কক্সবাজারের মানুষ বলছেন, এ সব ঘটনা দেশের শান্তিশৃঙ্খলার জন্য চরম হুমকি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া উন্নয়নসমৃদ্ধ দেশকে রোহিঙ্গা নিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে কিনা খতিয়ে দেখা জরুরি মনে করছেন তারা।