বেলের ব্যবসায় ৩০ বছর পার করলেন পানছড়ির মালেক কাজী

fec-image

‘কথায় বলে, বেল পাকিলে কাকের কী?” কাকের কিছু না হলেও মালেক কাজীর জন্য অনেক কিছু। বেলের ব্যবসা করেই জীবনের মুল্যবান ৩০টি বছর পার করেছেন তিনি। উপজেলার ১নং লোগাং ইউপির শান্তিনগর গ্রামের কাজী আবদুল মালেকের বয়স এখন ষাট। তার পিতার নাম সাজন মিয়া। সাত কন্যার এই জনক ইতোমধ্যে পাঁচ কন্যাকে বিবাহ দিয়েছেন। বেলের পাশাপাশি মৌসুমী ফল কলা, কাঁঠাল ও তরমুজের ব্যবসাও করেন।

পানছড়ি পোড়াবাড়ী এলাকায় কথা বলে জানা যায়, প্রত্যন্ত এলাকায় গাছচুক্তি অগ্রিম বেল ক্রয় করে থাকেন। ফাল্গুন মাসে শ্রমিক দিয়ে গাছ থেকে বেল পেড়ে পোড়াবাড়ী এলাকায় এনে বস্তা ভরা হয়। প্রতিবস্তা বেলের দাম দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। কখনো লাভ কখনো লস দুটোই হয়। তবে বিভিন্ন সমিতি থেকে লোন নিয়েই ব্যবসাটা কোন রকম ধরে রেখেছেন। উপজেলার বড়কোনা ও নাপিতা পাড়া এলাকাতেই বেলের ফলন ভালো বলে জানালেন। নিজ উপজেলায় তেমন চাহিদা না থাকায় পরিবহনযোগে শহরেই পাঠিয়ে দেন। এবারে বার থেকে চৌদ্দ গাড়ি (জিপ) রপ্তানির আশা প্রকাশ করছেন।

পানছড়ি কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, দেশীয় জাতের এই বেলের বাগান রয়েছে মাত্র একটি। বাকিগুলো সব ছড়ানো-ছিঁটানো। উপজেলার পাঁচ হেক্টর জমিতে প্রায় তের’শ বেল গাছ রয়েছে, যার সম্ভাব্য উৎপাদন চল্লিশ মেট্টিক টন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল জানান, দোঁ-আশ ও বালুকাময় মাটি বেলগাছ বৃদ্ধির জন্য আদর্শ। বেল যেমনি পুষ্টিকর তেমনি ঔষধি গুণাগুণও রয়েছে। ডায়েরিয়া ও কলেরা চিকিৎসায় বেলের শরবত যথেষ্ট উপকারী বলে জানান তিনি।

ভিডিওতে নিউজটা দেখুন:

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পানছড়ি, বেল
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন