parbattanews

বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ করা না হলে শীঘ্রই পার্বত্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচী দেয়া হবে- সমঅধিকার আন্দোলন

344

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

‘পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরার প্ররোচনায় পাহাড়ে বসবাসরত বাঙালিদের প্রতি নানা বৈষম্যমূলক অশোভন আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ’ জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা রাঙামাটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার (এফএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের মহাসচিব মনিরুজ্জামান মনির।

সংগঠনের পক্ষ থেকে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম রক্ষা, ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত বৈষম্যমূলক কালোচুক্তি বাতিল, দেশের অখণ্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, তিন পার্বত্য জেলা থেকে সকল বে-আইনী অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার, পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের আটকসহ ৯ দফা দাবিনামা’ বাস্তবায়নের লক্ষে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচির সাফল্য কামনা করে বাণী পাঠান দৈনিক রাঙামাটির প্রকাশক মো. জাহাঙ্গীর কামাল। মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় মানবাধিকার সংস্থার মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ইসা, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহীদুর রহমান তামান্না, সমঅধিকার নারী আন্দোলন নেত্রী রোজিনা বেগম, সমঅধিকার ছাত্র আন্দোলন’র নেত্রী প্রকৌশলী জান্নাতুল ফেরদৌস, সেলিনা আক্তার, মহিলা দল নেত্রী সুলতানা পারভিন প্রমূখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘কতিপয় সাম্প্রদায়িক কর্মকর্তা তথা পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের বহুল বিতর্কিত সচিব নবক্রিম ত্রিপুরা এবং উপ-সচিব বিদুষি চাকমার প্ররোচনায় বাঙালিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক চক্রান্ত চালানো হচ্ছে’।

বক্তারা আরো বলেন, ‘তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত স্থানীয় বাংলাভাষি জনগণ পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের উক্ত আচরণে ক্ষুব্ধ, মর্মাহত ও সাংবিধানিক সমধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কর্মকর্তাদের এই বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ না করা হলে শীঘ্রই পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে বক্তারা হুঁশিয়ার করে দেন।’

সভাপতির বক্তব্যে মনিরুজ্জামান বলেন, ‘দেশের এক ও অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে লিপ্ত মুক্তিবাহিনীকে দমন করতে না পেরে নিরীহ ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ করেছিল। একই কায়দায় বাংলাদেশের হৃদপিণ্ড পার্বত্য চট্টগ্রামকে ছিনিয়ে নিয়ে স্বাধীন জুমল্যান্ড বানাবার নামে বিগত ৩ যুগ যাবত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। যুদ্ধে না পেরে ৩০ হাজার নিরীহ পার্বত্যবাসী বাঙালিকে হত্যার মাধ্যমে আরেকটি যুদ্ধাপরাধ করেছে সন্তুু লারমা বাহিনী। তাহলে খুনী জুম্ম লিবারেশন আর্মি বা শান্তিবাহিনী কি যুদ্ধাপরাধী নয়’? তাদেরও আন্তর্জাতিক আইনে বিচার করা উচিত বলে মনে করেন মনিরুজ্জামান।

মানববন্ধনের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম রক্ষা, ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত বৈষম্যমূলক কালোচুক্তি বাতিল, তিন পার্বত্য জেলা থেকে সকল বে-আইনী অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার, পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের আটক এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় থেকে সাম্প্রদায়িক সচিব ও উপ-সচিবকে অপসারণসহ ৯দফা দাবীনামা ঘোষণা করা হয়।

Exit mobile version