parbattanews

ব্যাডমিন্টনে কক্সবাজার জেলা চ্যাম্পিয়ন হালিমার স্বপ্ন জাতীয় পর্যায়ে খেলার

12322
কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত ‘উন্মুক্ত ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে’ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পৌরপ্রিপ্যারেটরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী হালিমা আক্তার। ফাইনালে এককভাবে জেলা চ্যাম্পিয়ন হালিমা আক্তার বলেন, বাড়িতে বা স্কুলে কোথাও খেলার সুযোগ বা পরিবেশ নেই। গত এপ্রিল মাসে ক্রীড়া সংস্থায় মাত্র ১০ দিন প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে চ্যাম্পিন হয়েছেন। সুযোগ পেলে জাতীয় পর্যায়ে খেলবেন।

একই টুর্নামেন্টের দ্বৈত খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সাদিয়া আফরিন মিথিলা ও জুবেদা আক্তার।

শনিবার টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক।

জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী সেলিনা রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজি আব্দুর রহমান, আনোয়ারুল নাসের ও সাইফুল ইসলাম মজুমদার, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অনুপ বড়ুয়া অপু, মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোপী সেন প্রমুখ।

খেলা ও অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন।গত ২০১৬ সালের এপ্রিলে জেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২৬ জন নারী খেলোয়াড় বাছাই করা হয়। এসব খেলোয়াড়দের গত ১৬ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেখান থেকে বাছাইকৃত ৬ জন নারী খেলোয়াড় দ্বৈত ও একক টিমে ফাইনাল খেলায় অংশ গ্রহণ করেন।

ফাইনালে একক জেলা চ্যাম্পিয়ন হয় পৌর প্রিপ্যারেটরী উচ্চবিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী হালিমা আক্তার। রানার আপ হয়েছে কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আফরিন মিথিলা।

দ্বৈত জেলা চ্যাম্পিয়ন হয় সাদিয়া আফরিন মিথিলা ও পৌরপ্রিপ্যারেটরী উচ্চবিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী জুবেদা। রানারআপ হয়েছে কাউয়ারখোপ হাকিম রকিমা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী তৈয়বা ও পৌর প্রিপ্যারেটরী উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী বৃষ্টি।

জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি সেলিনা রহমান বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির যুগে সবাই ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত। বিশেষ করে ছাত্রীরা মোটেও মাঠমুখি নয়। খেলাধুলায় কক্সবাজারের নারীরা অনেক পিছিয়ে। ছাত্রীদের মাঠমুখি করতেই এই আয়োজন।’

Exit mobile version