parbattanews

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শান্তির জন্য খুন, চাঁদাবাজি পরিত্যাগ করুন: পার্বত্যমন্ত্রী

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন- প্রধানমন্ত্রী জীবনবাজি রেখে অশান্ত পার্বত্য এলাকাকে শান্ত করার জন্য শান্তিচুক্তি করেছেন এবং অস্ত্র, যুদ্ধ ছাড়াই আলোচনার মাধ্যমে তিনি সফল হয়েছেন। ধীরে ধীরে শান্তি চুক্তির ধারাসমূহ পূরণ হবে; খুন, চাঁদাবাজির মাধ্যমে এর সমাধান হবে না। দেশকে এগিয়ে নিতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে তোলার জন্য খুন, চাঁদাবাজি পরিত্যাগ করুন।

শুক্রবার (১৩মার্চ) সকালে বান্দরবানের রুমা উপজাতীয় আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয় আ্যলামনাই এসোসিয়েশন এর আয়োজনে পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর আরো বলেন- আজকের অনুষ্ঠানের মধ্যেই দেশ গড়ার কারীগররাই আছে। ইতিহাস ভুলে গেলে আমাদের চলবে না। অতীত ও বর্তমান জেনে সম্মিলিতভাবে আমাদের সামনের দিকে আগিয়ে যেতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে। গতানুগতিক শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে গেলে হবে না, আমাদের সন্তানদের কারিগরি শিক্ষায়ও পারদর্শী করতে হবে।

পার্বত্যমন্ত্রী আরো বলেন- একটা সময় বান্দরবানে ৩টি কলেজ ছিল এখন ১৪টি কলেজ। বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, পিটিআই হয়েছে, নার্সিং ইনস্টিটিউট হয়েছে। আরো দুটি প্রতিষ্ঠান হবে। পার্বত্য এলাকায় আবাসিক বিদ্যালয় গড়ে তোলার মাধ্যমে পাহাড়ের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে বাস্তবমূখী হওয়ার আহ্বান জানান।

এর আগে মন্ত্রীসহ অতিথিবৃন্দ বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এসময় অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা (এনডিসি), রুমা জোনের উপ অধিনায়ক মেজর যুবায়ের শফিক (পিএসসি), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হোসেন, রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুল আলম, রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আশীষ কুমার বড়ুয়া, সদস্য পরিকল্পনা ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ফিলিপ ত্রিপরা, ম্রাসা খেয়াং, তিং তিং ম্যা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল আজিজ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মো. ইয়াছিন আরাফাতসহ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version