parbattanews

ভল্লুকের কামড়ে আহত ত্রিপুরা শিশুকে সিএমএইচে প্রেরণ

ভল্লুকের কামড়ে আহত পনবিকাশ ত্রিপুরাকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় হেলিকপ্টারে করে সিএমএইচে প্রেরণ করা হচ্ছে

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রামস্থ ২৪ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রাঙ্গামাটি জেলার সাজেক থানাধীন নিওথাংনাং পাড়া নামক দূর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকা হতে পনবিকাশ ত্রিপুরা (১৬) নামে একজন উপজাতি কিশোরকে গুরুতর আহত অবস্থায় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টাযোগে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে আসা হয়। আজ ১২ মে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়।

জানা যায়, গত ১০ মে শুক্রবার সাজেকের নিওথাংনাং পাড়ার অলিনদ্র ত্রিপুরার ছেলে পনবিকাশ ত্রিপুরা পাহাড়ে হঠাৎ ভাল্লুকের আক্রমনের শিকার হয়। এসময় ভাল্লুকটি তাকে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে নিকটস্থ বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে আসে তার আত্নীয়রা। সেখানে বিজিবি কর্তৃক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে, পনবিকাশ ত্রিপুরার অধিকতর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন দেখা দিলে বিজিবি কর্তৃক সেনাবাহিনীর নিকট সহায়তা চাওয়া হয়। খবর পেয়ে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান এর নির্দেশে সেনাবাহিনী পরে বিমানবাহিনীর সাথে সমন্বয় করে।

দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ হতে বিবেচনা করে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এর নির্দেশনায় আজ দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে তাকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

আহত পনবিকাশ ত্রিপুরার বাবা অলিনন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর এরূপ মানবতাবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য পাহাড়ের দূর্গম এলাকায় মানুষ নতুন জীবন পাচ্ছে। তিনি তার ছেলের চিকিৎসা সহায়তায় সেনাবাহিনীর এত বড় অবদানের প্রতি বারবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এখানে উল্লেখ্য যে, এর আগেও দূর্গম পাহাড়ী এলাকা হতে মুমূর্ষু অবস্থায় হেলিকপ্টারে করে সিএমএইচে রোগী স্থানান্তর করেছে সেনাবাহিনী। উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বিজিবি’র যৌথ প্রচেষ্টায় গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে সোনাপতি চাকমা এবং ২৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে জিতনী তঞ্চংগ্যা নামে দুইজন উপজাতি প্রসূতি নারীকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সু-চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিলো। এতে করে তাদের জীবনরক্ষা হয়েছিলো।

Exit mobile version