parbattanews

ভারতকে সাহায্য করে চীনকে ঠেকানোর বার্তা আমেরিকার

স্থল ও সমুদ্রে চীনকে ঠেকাতে ভারতের ক্ষমতা বাড়াতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা। ওয়াশিংটনের মতে, আগামী কয়েক দশকের জন্য কৌশলগতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী হতে চলেছে চীন। এই পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের সাথে তাদের অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিল পেন্টাগন। চীনকে ঠেকাতেই ভারতের সাথে নিজেদের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির কথা বলল পেন্টাগন।

২০২২ সালের ন্যাশনাল ডিফেন্স স্ট্র্যাটেজি প্রকাশ করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। সেই স্ট্র্যাটেজিতেই বলা হয়েছে, ‘ভারতের সাথে আমাদের প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের আগ্রাসন রোধ করতে এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলে অবাধ ও উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য ভারতের ক্ষমতা বাড়াতে এই পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

এদিকে ভারত ও আমেরিকা শিগগিরই যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে চলেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ১০০ কিমি দূরে উত্তরাখণ্ডের আউলিতে এই সামরিক মহড়া হবে ১৫ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বরের মধ্যে। ভারত ও আমেরিকা কঠিন ও দুর্গম পরিবেশে প্রতি বছর এ ধরনের সামরিক মহড়া করার পরিকল্পনা নিয়েছে।

আমেরিকা ও ভারতের এই সামরিক মহড়ার বিরোধিতায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল চীন। বেইজিং অভিযোগ করেছিল, ভারত চুক্তি লঙ্ঘন করছে।

যদিও এ প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, তৃতীয় পক্ষের (চীনের) হস্তক্ষেপের অভিযোগ বুঝতে পারছি না। ভারত ও আমেরিকার যৌথ সামরিক মহড়া সম্পূর্ণ আলাদা একটি বিষয়। চীন অকারণে সীমান্তে উত্তেজনার সাথে সামরিক মহড়াকে গুলিয়ে ফেলছে।

এদিকে গত শনিবার তৃতীয়বারের জন্য চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শি জিনপিং। এরপরই আমেরিকার সাথে হাতে হাত মিলিয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। যদিও জিনপিংয়ের বার্তা এবং চীনের কর্মকাণ্ডে আকাশ-পাতাল তফাৎ। সম্প্রতি তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার সাথে বেইজিংয়ের সংঘাত মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই অবস্থায় চীনের চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে ভারতকে সাহায্য করার বার্তা দিয়েছে পেন্টাগন।

সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস

Exit mobile version