ভারতীয় অপারেশন সিঁদুরে নেতৃত্ব দানকারী কে এই সোফেয়া কুরেশি ?


ভারত-পাকিস্তান টানাপোড়েনের সময় সাংবাদিক বৈঠক করে দেশবাসীকে জানানো হয় কর্নেল সোফেয়া কুরেশির কথা। দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা। পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তানের মাটিতে থাকা ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারত। শুরু হয় ভারতীয় বাহিনীর অপারেশন সিঁদুর।
এর মধ্যে টানটান উত্তেজনায় অপারেশন সিঁদুরে উঠে আসে এক নারী যোদ্ধার কথা। তার নাম কর্নেল সোফেয়া কুরেশি। প্রশ্ন উঠে- অপারেশন সিঁদুরে নেতৃত্ব দানকারী কে এই সোফেয়া কুরেশি?
ভারত-পাকিস্তানের অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মাঝেই দেশের এই নারী যোদ্ধাকে নিয়ে দেশবাসীর উৎসাহের অন্ত নেই। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন সোফিয়া কুরেশি। সোফেয়া কুরেশি গুজরাতের বাসিন্দা।
১৯৮১ সালে গুজরাতের ভদোদরায় তাঁর জন্ম। বায়োকেমিস্ট্রিতে স্নাতকোত্তর। সোফেয়ার দাদাও ভারতের সেনাবাহিনীতে ছিলেন। শুধু তাই নয়, এর আগে তার ঠাকুরদাও ছিলেন সেনাবাহিনীতে তাঁর বাবাও কয়েক বছর ধরে সেনাবাহিনীতে একজন ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরো মজার বিষয় হলো, যাকে নিয়ে এত আলোচনা তার স্বামী মেকানাইজড ইনফ্যান্ট্রির সেনাকর্তা মেজর তাজুদ্দিন কুরেশি। এবং তাঁদের একটি ছেলেও রয়েছে ৷ নাম সমীর কুরেশি।
শুধু তাই নয়, তার ঠাকুমা লড়েছেন রানি লক্ষ্মীবাইয়ের বাহিনীতে’! তার রক্তে রয়েছে যোদ্ধার রক্ত প্রবাহ। কর্নেল সোফিয়া কুরেশির পরিবারের গল্পগাঁথা গায়ে কাঁটা দেয় উৎসুক মানুষের শরীরে।
তাদের বংশ পরম্পরায় রয়েছে যুদ্ধ ও যোদ্ধার ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা।
১৯৯৯ সালে সোফিয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে চেন্নাইয়ের অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।
এরপর সোফিয়া সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন লাভ করেন। ২০০৬ সালে সোফিয়া কঙ্গোয় রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা মিশনে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ভারতীয় অপারেশন সিঁদুরে উঠে আসে এই মুসলিম লড়াকু যোদ্ধার কথা। দেশের জন্য তিনি শেষ অবধি প্রাণপণে লড়েছেন। যুদ্ধকালীন তার বীরত্বপূর্ণ খ্যাতি দেশের সীমান্ত পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বময়।