parbattanews

ভারতের অ্যাওয়ে জার্সি উন্মোচন

বিশ্বকাপের প্রথম ছয় ম্যাচে অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালের প্রায় দরজায় ভারত। বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বিরাট কোহলির দল। রোববার এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ ভারতের। ওই ম্যাচে অ্যাওয়ে জার্সিতে মাঠে নামবেন কোহলি-ধোনিরা।

শুক্রবারই বিসিসিআই’র অফিসিয়াল স্পনসর নাইকি ভারতের অ্যাওয়ে জার্সি উন্মোচন করে। এই ম্যাচে ভারতীয় দলের চিরাচরিত ‘মেন ইন ব্লু’র পরিবর্তে হয়ে উঠবে ‘মেন ইন ওরেঞ্জ’। অনেক দলের কাছাকাছি রঙ হওয়ার এবার আইসিসি বিশ্বকাপে হোম ও অ্যাওয়ে জার্সির ব্যবস্থা করেছে। প্রথম ছয়টি ম্যাচ ব্লু জার্সি (হোম) পরে মাঠে নামলেও রোববার প্রথমবার অ্যাওয়ে জার্সিতে মাঠে নামবে ভারতীয় দল।

সাউথ আফ্রিকা ইতিমধ্যেই অ্যাওয়ে জার্সি পরে খেলেছে। কেনিংটন ওভালে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উজ্জ্বল হলুদ রঙের (অ্যাওয়ে) জার্সি পরে মাঠে নেমেছিলেন ডু’প্লেসিস-আমলারা। তবে জার্সি পরিবর্তনেও ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি প্রোটিয়াদের। প্রথম ম্যাচে চিরাচরিত সবুজ জার্সি পরে ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উজ্জ্বল হলুদ রঙের জার্সিতে জয় অধরা ছিল প্রোটিয়াদের।

ভারতের কমলা জার্সি প্রকাশ্যে আসার পরই অবশ্য চরম বিতর্ক শুরু হয়। এই জার্সি নিয়ে আপত্তি তুলেছে সেদেশের দুই বড় রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি। তাদের বক্তব্য, বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে ভারতের কমলা জার্সি পরে খেলার অর্থই হল বিজেপির (ক্ষমতাশালী ভারতীয় জনতা পার্টি) গেরুয়াকরণের চেষ্টা।

কংগ্রেসের এমপি নাসিম খান বলেছেন, ‘খেলা হোক আর সাংস্কৃতিক মঞ্চ, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গেরুয়াকরণের রাজনীতি চলছে। দেশের তেরঙাকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। এখনকার সরকার সবকিছুকেই গেরুয়ার আবরণে মুড়ে ফেলতে চাইছে। এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা।’

বিশ্বকাপে ভারতের নতুন জার্সি নিয়ে আপত্তি তুলেছে সমাজবাদী পার্টিও। তাদের শীর্ষ নেতা আবু আজমি এই জার্সি বদলের ব্যাপারটাকে ‘অনৈতিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘ভারতীয় দলকে যদি কোনো রঙ দিতেই হয়, তবে সেটা হওয়া উচিত জাতীয় পতাকার তেরঙা। তাহলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু কমলা রঙই যদি সব কিছুর সঙ্গে মিশে যায়, তাহলে সেটা অবিচার হবে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। লোকের এটা নিয়ে প্রতিবাদ করা উচিত।’

Exit mobile version