পাচারকারীদের ফাঁদে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশযাত্রা

ভারতের কারাগারে ৮ বছর, অবশেষে ফিরলো রামুর ৫ যুবক

fec-image

অবৈধ অনুপ্রবেশ ও আইনি জটিলতায় প্রায় ৮ বছর ভারতের কারাগারে বন্দি ছিল রামুর ৫ যুবক। তারা হলেন, উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের উত্তর পাড়ার আলী আহমদের ছেলে শফিউল আলম, সুলতান আহমদের ছেলে আবদুল হামিদ, দক্ষিণ পাড়ার আবু তাহেরের ছেলে সোহেল রানা, পূর্ব তিতারপাড়ার মৃত রশিদ আহমদের ছেলে নুরুল আজিম ও টেকপাড়ার মৃত রশিদ আহমদের ছেলে মুহাম্মদ ইসমাঈল। স্বপ্ন দেখিয়ে তাদের পাচার করেছিল দালালচক্র।

দেশের অন্যতম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা-পালস বাংলাদেশের সহায়তায় অবশেষে ৫ যুবকক কারামুক্ত হয়েছে তারা। ফিরেছে দেশের মাটিতে। তবে, তাদের সঙ্গে যাওয়া মনজুর আলম নামের আরেকজন ভারতের কারাগারে অসুস্থ হয়ে প্রায় ৩ বছর আগে মারা যায়।

কারামুক্ত ৫ যুবক শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজার বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন পালসের হেড অফিস প্রাঙ্গণে পৌঁছলে স্বজনদের আবেগ আর কান্নার রোল পড়ে যায়। অবতারণা হয় ভিন্ন দৃশ্য। ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় মা, বাবা, ভাই, স্ত্রী কিংবা স্বজনেরা। অন্ধকার জগৎ থেকে ফেরা এই পাঁচজন এখন নিজ ঘরে, স্বজনের কাছে।

এ উপলক্ষ্যে পালস মিলনায়তনে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক তরিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানব সম্পদ ও উন্নয়ন) নাসিম আহমেদ, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট নওশের ইবনে হালিম, ক্যাম্প ২৩ ইনচার্জ, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম।

পালসের প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলাম কলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিচালক (প্রশাসন) আবদুল হামিদ, হেড অব প্রোগ্রাম আবুল বাশের, সমন্বয়কারী মাহবুবুল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

পালসের প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলাম কলিম বলেন, বছরখানেক আগে আমরা জানলাম যে, রামুর ৬ জন ছেলে ভারতের কারাগারে বন্দি আছে। খোঁজ নিলাম, তারা প্রায় ৮ বছর ধরে জম্বু কাশ্মির, হরিয়ানা কারাগারে বন্দি। তাদের মুক্ত করতে পরিবারের সদস্যরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। একটি টিমও ভারতে পাঠিয়েছিল। নানা জটিলতায় কারামুক্ত করতে পারে নি।

তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সহায়তায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৫ জনকে কারামুক্ত করেছি। শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বজনদের হাতে তুলে দিয়েছি। এই প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত ছিল সবার নিকট আমরা কৃতজ্ঞ।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কারাগার, ভারত, যুবক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন