parbattanews

ভারতের রানের চাপে বাংলাদেশ

Mayank Agarwal of India plays a shot during day two of the the 1st Test match between India and Bangladesh held at the Holkar Cricket Stadium, Indore on the 15th November 2019. Photo by Vipin Pawar / Sportzpics for BCCI

বাংলাদেশকে তৃতীয় দিন সকালে প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অলআউট করে নিজেদের লক্ষ্যে সফল হয়েছে ভারত। তার পর স্বাগতিকদের ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে দাপুটে ভঙ্গিতে।

২৫৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও রানের পাহাড় গড়তে যাচ্ছে তারা। চায়ের বিরতি পর্যন্ত ৩৯ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৪০। তাতে সফরকারী দল এগিয়ে ৩৯৪। ক্রিজে আছেন শুভমান গিল (৮০) ও চেতেশ্বর পূজারা (৩৩)।

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগের দিনই ফলোঅন শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে ১৩৩ রান নিয়ে দিন শেষ করেছিল স্বাগতিকরা। শুক্রবার সকালে ৫০ মিনিটের মতো প্রতিরোধ গড়তে পারে মিরাজ-এবাদত-খালেদরা।

মিরাজের বিদায়ের পরই বাংলাদেশের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। ভারতের ৪০৪ রানের জবাবে স্বাগতিক দল অলআউট হয়েছে ১৫০ রানে। তাতে সফরকারী দল ২৫৪ রানে এগিয়ে থেকে পুনরায় ব্যাট করতে নামে।

পিঠের সমস্যায় মাঠে নেই এবাদত হোসেন। সাকিবতো প্রথম ইনিংসে করতে পেরেছেন মাত্র ১২ ওভার। দ্বিতীয় ইনিংসে এখন অব্দি বোলিং করতে পারেননি। কার্যত তিন বোলারকে দিয়েই আক্রমণ পরিচালনা করতে হচ্ছে। চতুর্থ বোলার হিসেবে ইয়াসির আলী রাব্বিকে সাকিব ব্যবহার করেছেন। কিন্তু ৫ ওভার বোলিং করে উইকেট শূন্য এই অনিয়মিত স্পিনার। তবে টেস্ট উইকেট পেতে পারতেন তিনি।

আম্পায়ার জোরালো আবেদনে সাড়া না দিলে সাকিব রিভিউ নিয়েছিলেন। ভেতরে ঢোকা বল শুভমান গিলের ব্যাটের ফাঁক গলে পায়ে আঘাত হানে। ইম্প্যাক্ট কোথায় সেটাই হয়তো দেখার ছিল আম্পায়ারের। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার জানান, ডিআরএস অফলাইনে থাকায় পরীক্ষা করতে পারছেন না। দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় তাতে ভীষণ হতাশ হতে হয়েছে পুরো দলকে।

তার আগে অবশ্য একটি উইকেট নিতে পেরেছেন পেসার খালেদ আহমেদ। প্রতিনিয়ত শর্ট বল করে উইকেটের আশায় ছিলেন তিনি। সেই চেষ্টা বৃথা যায়নি। লেগ স্ট্যাম্পে করা খালেদের শট বল পুল করতে গিয়ে তাইজুলের হাতে ধরা পড়েন লোকেশ রাহুল।

তার আগে অবশ্য উদ্বোধনী জুটিতে ৭০ রান যোগ করে ফেলেন লোকেশ-শুভমান। প্রথম উইকেটের পর চা বিরতি পর্যন্ত অনায়াসেই খেলে গেছেন গেছেন শুভমান-চেতেশ্বর। দ্বিতীয় উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়ে দ্বিতীয় সেশন শেষ করেন তারা।

এর আগে সকালের শুরুতে এবাদত হোসেনকে (১৭) গ্লাভসবন্দি করিয়ে লেজ ছেঁটে দেওয়ার কাছে চলে যায় ভারতীয় দল। উইকেট নেন কুলদীপ। মিরাজ অবশ্য তখনও প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় ছিলেন।

কিন্তু যোগ্য সঙ্গী না থাকায় ৮২ বলে ২৫ রানেই ফিরতে হয় তাকে। অক্ষর প্যাটেলের ঘূর্ণিতে ২৫ রানে কিপারকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশকে ধসিয়ে দিতে রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদবের-ই বড় অবদান। ৪০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন। ৩ উইকেট নিয়েছেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) লেট অর্ডারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভারত প্রথম ইনিংসে করেছে ৪০৪ রান। চেতেশ্বর পূজারা-শ্রেয়াস আইয়ারকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করতে পারলেও অষ্টম উইকেটে কুলদীপ যাদব ও রবীচন্দ্রন অশ্বীনের ৮৭ রানের জুটি বিপদে ফেলে দেয় স্বাগতিকদের। ওই জুটির পর উমেশ যাদবের ১০ বলে ১৫ রানের ইনিংসে ৪০৪ রান তুলে ফেলে সফরকারীরা।

অশ্বিনের ব্যাট থেকে ৫৮ ও কুলদীপের ব্যাট থেকে আসে ৪০ রানের ইনিংস। একাধিক জীবন পাওয়া শ্রেয়াস আইয়ার ৮৬ ও চেতশ্বর পূজারা খেলেছেন ৯০ রানের ইনিংস।

Exit mobile version