ভারতে আত্মীয়র বিয়েতে যাওয়ার পথে বিজিবির হাতে আটক ১২ বাংলাদেশি

অবৈধভাবে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় আত্মীয়র বিয়ের নিমন্ত্রণে যাওয়ার পথে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র (বিজিবি) হাতে আটক হলেন নারী ও শিশুসহ ১২জন বাংলাদেশি।
সোমবার রাত একটার দিকে রামগড় ৪৩ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন নলুয়াটিলা সীমান্ত এলাকা হতে বিজিবি তাদের আটক করেন।
এরা হলেন, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির উত্তর ধুরুং গ্রামের বাসিন্দা। গোপি নাথ (৫৭), তার স্ত্রী রুপালী রানী নাথ (৪৩), ছেলে কৃষ্ণ নাথ (২১), সঞ্জয় নাথ (৪০), তার ছেলে দীব্য কৃষ্ণ নাথ (১২), মুক্তা দে (৪৩), তার দুই মেয়ে ঈশিতা দত্ত (২৫) ও পুষ্পিতা দত্ত (২০)। ফটিকছড়ির ফকিরহাটের ইমামনগর গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ কান্তি নাথ (৪৫) এবং চট্টগ্রামের মহেশখালীর খোয়ানখ গ্রামের বাসিন্দা অর্নব কুমার দে (৩৭), তার স্ত্রী রাজশ্রী দেবী (৪৩) ও ছেলে অনিরুদ্ধ দে (৪) ।
বিজিবি জানায়, সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক একটার দিকে বিজিবি রামগড়ের ৪৩ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ফটিকছড়ির নলুয়াটিলা বিওপির নায়েক সুবেদার মোঃ ফরিদুল ইসলামের নেতৃত্বে নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনাকালে বিওপি হতে আনুমানিক ৩০০ গজ পশ্চিম দিকে এবং মেইন পিলার নম্বর ২২১১ হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নলুয়াটিলা এলাকা হতে ওই ১২ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভূজপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম চলছে।
৪৩ বিজিবি পরিচালক লে. কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেন জানান, আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে বিজিবিকে বলেছে তারা ত্রিপুরার আগরতলায় আত্মীয়র বাড়িতে বিয়ের নিমন্ত্রণে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন। জনৈক দালালের মাধ্যমে তারা ভারতে যাচ্ছিলেন। তাদেরকে সীমান্ত পার করে দেওয়ার জন্য ৫৫ হাজার টাকা নেয় ওই দালাল। আটককৃতরা আরও জানায় বর্তমানে ভারত ভিসা দেওয়া বন্ধ করায় বাধ্য হয়ে তারা দালালের মাধ্যমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বিজিবি পরিচালক আরও বলেন, বাংলাদেশ ভারতের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা সীমান্ত পার হয়ে ওপারে আটক হলে তারা নিজেরা বাঁচার জন্য ভারতীয় বিএসএফ-পুলিশ ও মিডিয়ার কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর ওপর অত্যাচার নির্যাতনের মিথ্যা-বানোয়াট কথা বলে সহানুভূতি নেওয়ার চেষ্টা করে। তিনি জানান, এ বিশেষ পরিস্থিতিতে বিজিবি পুরো সীমান্ত এলাকায় নজরদারি ও টহল জোরদার করেছে।
প্রসংগত: গত ৪ নভেম্বর রামগড় পৌরসভার শ্মশানটিলা এলাকার বাসিন্দা খোকন দে তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও নাতিসহ পুরো পরিবার অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে সাব্রুমে পুলিশের হাতে আটক হয়। রামগড়ের বিভিন্ন এনজিও হতে ৪-৫ লক্ষ টাকার ঋণ নিয়ে গোপনে ভারতে পালিয়ে সাব্রুম পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তারা বাংলাদেশে নির্যাতন-নিপীড়নে কারণে দেশ ছাড়ার মিথ্যা ও বানোয়াট কথা ছড়ায়। অথচ খোকন দে’র মেয়ের জামাতা সুমন তার স্ত্রী ও শিশু পুত্রতে নিয়ে ভারতে পালানোর ঘটনায় রামগড় থানায় সাধারণ ডায়রি ও খাগড়াছড়ি আদালতে মামলা করেছেন।