ভারতে জেল খেটে ঘরে ফিরেছে কুতুবদিয়ার ২৯ জেলে

ভারতে সাড়ে ৬ মাস জেল খেটে অবশেষে ঘরে ফিরেছে কুতুবদিয়ার ২৯ জেলে। বুধবার (৩১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে তারা বাড়ি ফেরেন। এসময় আবেগ আর সুখের পরশ দেখা দেয় জেলেদের পরিবারে।
জানা যায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলার বড়ঘোপ পূর্ব মুরালিয়া গ্রামের জসীম উদ্দিনের মালিকানাধীন এফবি আল রাফি নামক একটি ফিশিংবোট ২৯ জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ভারতীয় সীমানায় ঢুকে পড়লে ভারতীয় কোস্টগার্ড তাদের আটক করে। দীর্ঘদিন ভারতে আটক থাকায় তাদের পরিবারে নেমে আসে দুর্ভোগ-অনটন।
বোট মালিক, ইউনিয়ন পরিষদ, স্থানীয় মৎসজীবি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আর্থিক ও চাল সহায়তা দেয়া হয়।
ফিশিং বোটের মাঝি মো. ইউনুছ জানান, তারা বৈরি আবহাওয়ায় ভারতীয় জল সীমানায় ঢুকে পড়লে তাদের হাতে আটক হন। আদালত সাজা দেয়ার পর গত ৮ আগস্ট সবার জামিন দেন কলকাতার উচ্চ আদালত। তবে আইনি জটিলতায় দেশে আসতে ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে যায়।
জেলে নুরুল বশর জানান, বৈরি আবহাওয়ায় অনেক সময়ই বাংলাদেশি জেলেরা ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক হয়ে থাকে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরো তড়িৎ পদক্ষেপ থাকলে আটক জেলেরা দ্রুুত জামিন নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন।
নানা জটিলতায় মাসের পর মাস জেলেরা সামান্য দোষেই জেল খাটেন ভারতীয় কারাগারে। স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক কুতুবদিয়া-মহেশখালীর আটক জেলেদের জামিন প্রক্রিয়া দ্রুত নিষ্পত্তিতে ভূমিকা রেখেছেন বলেও জানান তিনি।
কুতুবদিয়া মৎস্যজীবি ফেডারেশনের সভাপতি মো. আবুল কালাম বলেন, বৈরি আবহাওয়া গভীর সাগরে পথ হারিয়ে উপজেলার বড়ঘোপ অমজাখালী, মুরালিয়া, আলী আকবর ডেইল প্রভৃতি গ্রামের ২৯ মাঝি-মাল্লা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক হয়েছিল। আদালতের সাজা ভোগ করে বুধবার সবাই ঘরে ফিরেছে। সাড়ে ৬ মাস কারাভোগের পর গ্রামে ফিরে এলে জেলে পরিবারে শোকরিয়া আর উল্লাস দেখা গেছে বলে জানান তিনি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব আটক জেলেদের জামিনে উভয় দেশের আইনি প্রক্রিয়া আরো ত্বরান্বিত করারও দাবি জানান তিনি।