ভারতে দুই সেনা কর্মকর্তাকে মারধর, মেয়ে বন্ধুকে গণধর্ষণ
ভারতে দুইজন তরুণ সেনা কর্মকর্তা ও তাদের মেয়ে বন্ধুদের ওপর সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা নৃশংস হামলা চালিয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দেশটির মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর জেলার জ্যাম গেইটের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা লুটপাটের উদ্দেশ্যে এসেছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে তারা দুই সেনা কর্মকর্তাকে ব্যাপক নির্যাতন করেছে এবং তাদের একজন মেয়ে বন্ধুকে গণধর্ষণ করেছে।
ইতোমধ্যে পুলিশ দুইজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে একজনের পূর্বে অপরাধমূলক রেকর্ড পাওয়া গেছে।
এনডিটিভি বলছে, মহউ আর্মি কলেজে ওই দুইজন সেনা কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ চলছে। ঘটনার দিন বিকালবেলা তারা ছোটি জ্যামের ফায়ারিং রেঞ্জের কাছে মেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছিলেন।
এরপর আকস্মিকভাবেই পিস্তল, ছুরি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আটজন তাদের ঘিরে ফেলে। তারা দুই সেনা কর্মকর্তা ও মেয়েদের মারধর করে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা একজন কর্মকর্তা ও একজন নারীকে জিম্মি করে এবং আরেক কর্মকর্তা ও নারীকে ১০ লাখ রুপি মুক্তিপণ আনার জন্য পাঠায়।
এরপর ওই সেনা কর্মকর্তা দ্রুত তার ইউনিটে ফিরে এবং এই বিষয়ে তার কম্যান্ডিং অফিসারকে জানান। কম্যান্ডিং অফিসার দ্রুত পুলিশে খবর দেন
এরপর পুলিশ সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। তবে গাড়ি আসতে দেখে হামলাকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর হামলার শিকার চারজনকেই মহউ সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয় হয়। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুইজন সেনা কর্মকর্তাই আহত হয়েছেন।
পিটিআই বলছে, পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে একজন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
লুট, ডাকাতি, ধর্ষণ সম্পর্কিত (বিএনএস) ধারা এবং অস্ত্র আইনের অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্দোর রুরাল এসপি হিতিকা ভাসাল। সেইসঙ্গে এই অপরাধে জড়িত সকলকে ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।